জাতীয়

মুখে হাসি, স্বস্তিতে মেট্রোযাত্রীরা

দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় পর মেট্রোরেল চালু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। দ্রুত এই সেবা চালু করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা।  

মতিঝিলে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন সিদ্দিক আলী। তিনি জানান, মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর থেকেই তিনি এই রুটের নিয়মিত যাত্রী। থাকেন মিরপুরে। কিন্তু মেট্রোরেল বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছিলেন তিনি।

সিদ্দিক আলী বলেন, মেট্রোরেল চালুর পর এই রুটে বাসের সংখ্যা কমেছে। যে কারণে হঠাৎ করেই যাত্রীরা সংকটে পড়েছেন। প্রতিদিন দুর্ভোগ নিয়ে অফিস করতে হয়েছে। 

এখন পুনরায় মেট্রোরেল চালু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

৩৭ দিন বন্ধ থাকার পর রোববার (২৫ আগস্ট) আবারো মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে। আজ সকাল ৭টা ১০ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে প্রথম ট্রেনটি মতিঝিলের উদ্দেশে ছাড়ে। আর মতিঝিল থেকে প্রথম ট্রেনটি ছাড়ে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে। 

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (অপারেশন) নাসির উদ্দিন জানান, পূর্ব সময়সূচি মেনেই এখন থেকে মেট্রোরেল চলাচল করবে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ স্টেশন দুটিতে মেট্রোরেল থামবে না এবং যাত্রী সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

উল্লেখ্য যে, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে (ডিএমটিসিএল) ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশনগুলো বাদ দিয়ে ১৭ আগস্টের মধ্যে কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেয়। তবে ৬ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া মেট্রোরেল কর্মীদের ধর্মঘটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। এরপর দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে ২০ আগস্ট শ্রমিক-কর্মচারীরা কাজে যোগ দেন। 

এদিকে মেট্রোরেল চালু হওয়ায় খুশি হয়েছেন এই রুটে চলাচলকারী নারী যাত্রীরা। তারা বলছেন, এটা খুব ভালো হয়েছে যে, দ্রুত এই সেবা অন্তবর্তীকালীন সরকার চালু করেছে। এজন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তারা।

পল্টনে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন আনিকা চৌধুরী। থাকেন মিরপুর পল্লবীতে। মেট্রোরেল তিনি নিয়মিত আসা যাওয়া করেন। আনিকা বলেন, মেট্রোরেলে অভ্যস্থ হয়ে পড়েছিলাম। কয়েকদিন বন্ধ থাকায় বেশ কষ্টে আসা-যাওয়া করেছি। তাছাড়া মেট্রোরেল নারীদের জন্য খুব নিরাপদ, স্বস্তিদায়ক এবং সহজ। বাসে ধাক্কাধাক্কি ওঠা-নামা যে কি কষ্টের, তা নতুন করে বলার নেই। 

তবে বাসের যাত্রীসেবা উন্নত করা এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে বলেও জানান তিনি।