বন্যার্তদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘গণত্রাণ’ কর্মসূচি চলমান রয়েছে। অনলাইন-অফলাইন মিলিয়ে রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৪ দিনে মোট ৫ কোটি ২৩ লাখ ৩ হাজার ৬০৩ টাকা সংগ্রহ হয়েছে। আর ৫০ ট্রাক ত্রাণসামগ্রী বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়েছে। প্রতি ট্রাকে ৮০০ থেকে ১০০০টি ত্রাণ প্যাকেজ (এক পরিবার) ও ২০-৩০ কেস পানি রয়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন খাতে মোট ব্যয় করা হয়েছে ৩০ লাখ ১২ হাজার ৯৭০ টাকা।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণত্রাণ সংগ্রহ গত বৃহস্পতিবার শুরু হয়। গতকাল চতুর্থ দিনেও ত্রাণ দিতে আসা মানুষের ঢল নামে ক্যাম্পাসে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রতিটি প্যাকেজ একটি পরিবারের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় শুকনো খাদ্য, পানি ও ওষুধ। এর বাইরে বিমানবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ৩০০০ প্যাকেজ হেলিকপ্টারে বন্যাকবলিত দুর্গম অঞ্চলে বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৫০০ টাকা নগদ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্রাক, অটোরিকশা, ভ্যান ও রিকশায় বন্যার্তদের জন্য খাবার, জামা-কাপড়, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে আসেন। বিপুল পরিমাণ ত্রাণ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবকদের।
এর আগে শনিবার থেকে টিএসসি ও ডাকসু ক্যাফেটরিয়া ত্রাণে পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় ত্রাণ সংগ্রহ চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল মাঠ-সংলগ্ন জিমনেসিয়ামে। ত্রাণসামগ্রী মাঠের গ্যালারি ও জিমনেসিয়ামের ভেতরে স্তূপ করে রাখা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক লুৎফর রহমান, মিডিয়া ও কমিউনিকেশন উইংয়ের রেজওয়ান আহমদ রিফাত ও গণত্রাণ সংগ্রহ টিএসসি বুথের সমন্বয়ক সানজানা আফিফা অদিতি।