কক্সবাজারের রামুতে সংরক্ষিত বনের পরিবর্তে বিকল্প স্থানে ফুটবল ফেডারেশনের টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সংরক্ষিত বনের ২০ একর জায়গার পরিবর্তে, রামুর ধলিরছড়ায় ১৯.১ একর পরিত্যক্ত জমিতে সেন্টারটি স্থাপন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) পত্র দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
সংরক্ষিত বনের বিকল্প কোনো স্থানে বাফুফের টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের জন্য পরিবেশ উপদেষ্টা যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টাকে পত্র দিলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
অন্যদিকে, ৪৭১০ দশমিক ৬৪ একরের সংরক্ষিত এই পাহাড়ি শ্রেণির বনভূমির প্রস্তাবিত স্থানে বিভিন্ন সময়ে বাগান এবং সামাজিক বনায়ন করা হয়েছে। বাফুফের টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণ হলে এশিয়ান বন্য হাতির বিচরণক্ষেত্র, বন, বন্যপ্রাণী এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হবে। পরিবেশ ও প্রতিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ফিফার অর্থায়নে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)-এর ‘টেকনিক্যাল সেন্টার’ নির্মাণের জন্য খুনিয়াপালং মৌজার ২৫.০ একর ভূমি থেকে ২০ একর সংরক্ষিত বনভূমি অবমুক্ত(ডি-রিজার্ভ) করার আদেশ বাতিলের অনুরোধ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
উল্লেখ্য, রামুর সংরক্ষিত বনে বাফুফের টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নিলে পরিবেশবাদী, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিবেদিত ব্যক্তি ও সংস্থা, সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে শামিল হন। এ উদ্যোগের ফলে বর্ণিত স্থানের বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষা পাবে।