জাতীয়

সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র জমার সময় বাড়ছে

সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে নিলামকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে দরপত্র জমার সময় তিন মাস বাড়িয়েছে পেট্রোবাংলা। শর্ত শিথিল করে আরও কিছু প্রতিষ্ঠানকে নিলামে টানা উচিত বলে মনে করছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

২০১২ সালে ভারতের সঙ্গে এবং ২০১৪ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। এর পর প্রতিবেশী দেশ দুটি সমুদ্রে গ্যাস উত্তোলন শুরু করেছে। এবার একই পথে হাঁটতে যাচ্ছে বাংলাদেশও।

তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ৫৫ বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে আহ্বান জানিয়েছে পেট্রোবাংলা। এর মধ্যে প্রথম দফার নিলামে এখন পর্যন্ত দরপত্র কিনেছে সাতটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান।

দেশে এখন দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৪০০ কোটি ঘনফুট। এর বিপরীতে সরবরাহ হয় ২৭০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে উত্তোলন করা গ্যাস ২১০ ঘনফুট এবং আমদানি করা এলএনজি ৬০ কোটি ঘনফুট। তবে, ২০৩০ সাল নাগাদ স্থলভাগের গ্যাস উত্তোলন নামতে পারে ১৮০ কোটি ঘনফুটের নিচে। অগভীর সমুদ্রে মিলতে পারে আরও ২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস। তখন প্রায় ৫০০ কোটি ঘনফুট চাহিদার ৬০ ভাগ মেটাতে হবে এলএনজি আমদানি করে।

এসব কিছু বিবেচনায় এনে গভীর-অগভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করেছে পেট্রোবাংলা। পরে দরপত্রের নথি, তথ্য-উপাত্ত কেনা ও জমা দেওয়ার সময় তিন মাস পিছিয়ে ৯ ডিসেম্বর করা হয়েছে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্যাসের চাহিদা মেটাতে সমুদ্রে দ্রুতই অনুসন্ধান শুরু করা জরুরি। দেশের স্বার্থ সুরক্ষায় উৎপাদন-অংশীদারি চুক্তির বেশকিছু ধারায় সংস্কারেরও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমরা যত দ্রুত নিজেদের দেশে গ্যাস উত্তোলনের ব্যবস্থা করতে পারব, ততই ভালো। যদি নিজেদের দেশে আমরা ১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসেরও ব্যবস্থা করতে পারি, তাহলে সেটুকুই আমাদের আমদানি করা লাগবে না। আমদানি কমানো গেলে বৈদেশিক মুদ্রার ওপরও চাপ কম পড়বে।

এক্ষেত্রে অফশোর বিডিংয়ের যে প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, এটির সময় এগিয়ে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ শামসুল আলম বলেছেন, আমরা যে প্রফিটটা পাব, সেটি হবে নগদ অর্থে, গ্যাসে নয়। এ জায়গায় আমাদের আপত্তি রয়েছে। তারা করপোরেট ট্যাক্স যদি কম দেয় বা না দেয়, সে ক্ষেত্রে তাদের ভাগের গ্যাসের দাম কমাতে হবে। কস্ট রিকভারির যেসব ক্লজ রয়েছে, সেগুলো সংশোধন করতে হবে।