জাতীয়

বৈশ্বিক সহযোগিতা সংরক্ষণের লক্ষ্যে করা চুক্তি অনুমোদন করলো জাতিসংঘ

বৈশ্বিক সহযোগিতা সংরক্ষণের লক্ষ্যে একটি ‘ভবিষ্যতের জন্য চুক্তি’ অনুমোদন করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সাধারণ পরিষদের এই চুক্তি গৃহীত হয়।

চুক্তির এক সংযুক্তিতে একটি দায়িত্বশীল ও টেকসই ডিজিটাল ভবিষ্যতের লক্ষ্যে কাজ করার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এই চুক্তিকে ‘আরও কার্যকর, অন্তর্ভুক্তিমূলক, বহুপাক্ষিকতাবাদের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টির দিকে উল্লেখযোগ্য মোড় ফেরানো’ একটি মাইলফলক সমঝোতা বলে বর্ণনা করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

সাধারণ পরিষদের দুই দিনব্যাপী ‘ভবিষ্যতের জন্য শীর্ষ সম্মেলনে’ এই চুক্তিটি কোনও ভোট ছাড়াই গৃহীত হয়। প্রায় নয় মাস ধরে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই সমঝোতা চুক্তিটি প্রস্তুত করা হয়েছে।

শীর্ষ সম্মেলনে গুতেরেস বলেন, প্রান্ত থেকে বহুপাক্ষিকতাকে ফিরিয়ে আনতে আমরা এখানে মিলিত হয়েছি। 

গুতেরেস দীর্ঘদিন ধরেই এই চুক্তি ও শীর্ষ সম্মেলনের জন্য তাগাদা দিয়ে আসছিলেন। শান্তি এবং নিরাপত্তা, বৈশ্বিক শাসনপ্রক্রিয়া, টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, ডিজিটাল সহযোগিতা, মানবাধিকার, লৈঙ্গিক সমতা, তরুণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মতো বিষয়গুলো এই চুক্তির আওতায় আছে। এতে প্রায় ৫৬টি বিস্তৃত পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে, যা অর্জনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাষ্ট্রগুলো।

বৈশ্বিক সংকটগুলো জাতিসংঘের সংস্কার ও আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তাকে মূর্ত করে তুলেছে। এই সংকটগুলোর মধ্যে আছে ইউক্রেইন, গাজা ও সুদানে চলমান যুদ্ধ; জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনের প্রচেষ্টায় পিছিয়ে পড়া; ব্যাপক জাতীয় ঋণ সমস্যা এবং নিয়ন্ত্রণহীন প্রাযুক্তিক উন্নয়ন নিয়ে উদ্বেগ। সময়ের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাই এই চুক্তির সামগ্রিক লক্ষ্য।

রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ভারশিনিন এই আলোচনা ও চুক্তি অনুমোদনের সমালোচনা করেছেন।

রাশিয়া এই চুক্তির ঘোষণায় একটি সংশোধনী যুক্ত করতে চেয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল, ‘জাতিসংঘ ও এর ব্যবস্থা কোনও রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ এখতিয়ারের অধীনে থাকা বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করবে না।’

উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া, নিকারাগুয়া, বেলারুশ ও ইরান রাশিয়ার এই সংশোধনী প্রস্তাবে সমর্থন জানায়।