ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে নামে-বেনামে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং বিদেশে পাচারের অভিযোগে সাবেক দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ও বিসিআইসির সাবেক চেয়ারম্যান মো. হাইয়ূল কাইয়ুমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুদকের ডেপুটি ডিরেক্টর মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানের নগদ জমা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ আছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। এনাম মেডিক্যাল হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেড, এনাম এডুকেশন অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিলেজ (প্রা.) লি. এবং এনাম ক্যানসার হসপিটাল লিমিটেডে তার কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। তাছাড়া তার নামে বেনামে অবৈধ সম্পদ রয়েছে।
অন্যদিকে, বিসিআইসির সাবেক চেয়ারম্যান মো. হাইয়ূল কাইয়ুম চাকরিতে যোগদানের পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানাবিধ দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি ২০০৯-১০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার মোট স্থাবর সম্পদের মূল্য ৪.৬০ কোটি টাকা। যা তার চাকরির সঞ্চয় দিয়ে পারিবারিক ব্যয় নির্বাহের পর কোনক্রমেই সম্ভব নয়। এভাবেই ঘুষ-দুর্নীতি করে গড়েছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়।