রোহিঙ্গা সঙ্কটের দ্রুত সমাধান চেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডির সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ দাবি জানান।
এ সময় ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় একটি নতুন পদ্ধতির আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরে থাকা ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার দুর্দশা অবসানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরো বেশি কিছু করা উচিত।
তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের নতুন নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে বিশ্বব্যাপী আগ্রহ বেড়েছে।
ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি আশা প্রকাশ করেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় আরো অর্থায়ন করা হবে।
বিশ্বব্যাংকের ৭০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা একটি ভালো সূচনা বিন্দু, উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার জন্য আরো সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গা সঙ্কটের দ্রুত সমাধান খুঁজে বের করা এবং বাংলাদেশের আশ্রয়শিবিরে বেড়ে ওঠা লাখ লাখ রোহিঙ্গা শিশুর ভবিষ্যতের জন্য আরো বেশি কিছু করার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, খুব দেরি হওয়ার আগেই আমাদের এর সমাধান করতে হবে। আমাদের একটি সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মহাপরিচালক গিলবার্ট হুংবোও গতকাল বৃহস্পতিবার একটি হোটেলে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
গিলবার্ট হুংবো বাংলাদেশে আইএলও কনভেনশন বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপে জাতিসংঘের শ্রম সংস্থার সহায়তার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, আমরা আপনাকে সহায়তার জন্য প্রস্তত আছি। যদি কখনও প্রয়োজন হয়, আইএলও তার আহ্বানে সাড়া দেবে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শ্রম সংস্কার তার সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকার। কেননা, অন্তর্বর্তী সরকার শ্রম সংস্কারকে বাংলাদেশকে বিশ্বমানের উৎপাদনকেন্দ্রে পরিণত করার মূল বিষয় হিসেবে দেখে।
শ্রম সমস্যা নিরসন বাংলাদেশের জন্য অধিক বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ করে দেবে, উল্লেখ করে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা এ বিষয়ে খুবই আন্তরিক।