জাতীয়

পাটের ব্যাগ ব্যবহারে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করলেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন

সুপারশপে পাটের ব্যাগ চালুর মাধ্যমে পাটের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বাড়বে। পাটের ব্যাগ কিনতে টাকা গেলেও এতে প্রান্তিক কৃষক পাটের দাম পাবে, তাদের উপকার হবে- এমন মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।  

মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে ইউনিমার্ট সুপারশপে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে পলিথিনের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ ব্যবহারে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধকরণ শীর্ষক কর্মসূচিতে ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এ কথা বলেন। 

অন্তর্বর্তী সরকারের এ উদ্যোগকে যুগান্তকারী অভিহিত করে উপদেষ্টা বলেন, এটা পুনরায় ব্যবহার করা যাবে। পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহারে নদীসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হয়ে বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হয়েছে। একসময় পাটকে গোল্ডেন ফাইবার বলা হতো। এখন অনেকেই জানে না কীভাবে পাট চাষ করতে হয়। এখন সময়ের সঙ্গে পাট যে কত বড় অর্থকারী ফসল তা জানবে। 

অন্তর্বর্তী সরকারের পলিথিন বন্ধের এ যুগান্তকারী উদ্যোগকে সফল করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, পণ্যে পাট মোড়কের আইন করে পাটের ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। ব্যাগের চাহিদা বাড়লে এর যোগানও বাড়বে। পরিবেশবান্ধব সোনালি ব্যাগ তৈরি করছি, আগামীতে সেটাও বাজারজাত করা হবে বলে জানান তিনি। 

এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ বলেন, পরিবেশ রক্ষায় পাটের ব্যাগ ব্যবহারের বিকল্প নেই। পলিথিনের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় অংশীজনের অংশগ্রহণে ওয়ার্কশপ, সভা, সেমিনার আয়োজন করবে। পাট ও বহুমুখী পাটপণ্যের সাথে প্রায় কয়েক কোটি লোক সম্পৃক্ত আছেন। মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ সফল করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। 

এ সময় উপস্থিত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ পরিবেশ রক্ষায় পলিথিনের ব্যবহার বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদ আমাদের সকলের, তাই এই সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ইউনিমার্ট ও স্বপ্ন উভয় সুপারশপ পরিদর্শনকালে ক্রেতাদের পাটের ব্যাগ বিতরণ করেন। এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তসলিমা কানিজ নাহিদা, অতিরিক্ত সচিব এ, এন এম মঈনুল ইসলাম, পাট  অধিদপ্তরের  মহাপরিচালক  জিনাত আরা, এইচ এন্ড এইচ ফাউন্ডেশনের সভাপতি এম সাফাক হোসেন, ইউনিমার্ট ও স্বপ্ন সুপারশপের নির্বাহী প্রধানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।