জাতীয়

‘অনিয়মে মালয়েশিয়ায় ৫০ হাজার কর্মী যেতে পারেনি’

অনিয়ম ও দুর্নীতিতে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ায় ৫০ হাজার কর্মী যেতে পারেনি। এজন্য সিন্ডিকেটমুক্ত শ্রমবাজার নিশ্চিত করে কম খরচে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যে সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রা।এ সময় সিন্ডিকেটের হোতা রুহুল আমিন স্বপনসহ সিন্ডিকেটের পরিকল্পনাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কর্মী প্রেরণে সিন্ডিকেট চক্রের পুনরায় অপতৎপরতা বন্ধে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানায় সংগঠনটি।

বক্তারা জানান, অনিয়ম-দুর্নীতি ও অতিরিক্ত অভিবাসনের কারণে ৩১ মে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ায় ৫০ হাজার কর্মী যেতে পারেনি। ফলে কর্মীদের অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়েছে। যেখানে সিন্ডিকেটে চাঁদা ছিল জনপ্রতি ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা। এই সেক্টরের ৯৫ শতাংশ রিক্রুটিং এজেন্সি বৈষম্যের শিকার হয়েছে।

দুই দেশের এমওইউ সন্নিবেশিত বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়া সরকার সিলেকশন করার সুযোগ বাতিল করার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির কারণে যারা নির্দিষ্ট সময়ে যেতে পারেনি তাদের কম খরচে সিন্ডিকেটমুক্তভাবে পাঠাতে হবে।

এদিকে, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে ফরেন ওয়ার্কার সেন্ট্রালাইজেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকে (এফডব্লিউসিএমএস) বিতর্কিত ও দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সিস্টেম উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি করেন বায়রার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রিয়াজ-উল ইসলাম।

তিনি বলেন, গত ৬ বছরে ৭ লাখ লোক মালয়েশিয়ায় গেছে। সিন্ডিকেটের কারণে শ্রমবাজারের অবস্থা খুব নাজুক হয়ে পড়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসবেন। তার আগমন উপলক্ষে সরকারের কাছে আবেদন থাকবে এই সিন্ডিকেট বন্ধ করে একটি সুষ্ঠু পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা। তাহলে শ্রমবাজার সিন্ডিকেট মুক্ত হয়ে ঘুরে দাঁড়াবে।

অন্যদিকে, নেপালসহ অন্যান্য ১৩টি দেশের মতো বাংলাদেশ থেকেও একই প্রক্রিয়ায় শ্রমিক পাঠানোসহ যে ৫০ হাজার কর্মী সিন্ডিকেটের কারণে মালয়েশিয়া যেতে পারেনি তাদের কম খরচে মালয়েশিয়ায় পাঠানোসহ ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আলম।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান থাকবে, আবার শ্রমবাজার চালু করার।

সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় না দিয়ে এবং কম খরচে যাতে শ্রমিকরা যেতে পারেন সে ব্যবস্থা করতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এই সরকারের আমলে কোনো সিন্ডিকেট হবে না বলেও আশা করা যায়।যদি সিন্ডিকেট হয় তাহলে আন্দোলনে যাব।

এ সময় সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম, সিনিয়র সদস্য খন্দকার আবু আশফাক, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব নূরুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।