জাতীয়

ডিসি নিয়োগে লেন‌দে‌নের অভিযোগ তদন্তের নি‌র্দেশ, দা‌য়ি‌ত্বে ৩ উপদেষ্টা

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ক‌য়েকজন কর্মকর্তার বিরু‌দ্ধে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগে টাকা লেন‌দেনের অভিযো‌গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তদন্তের জন্য তিন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সচিবালয়ে দুর্গাপূজা উপলক্ষে নেওয়া কার্যক্রম বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ‌্য জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

তিনি বলেন, ‘একটা কমিটি করা হয়েছে, তারা এটা দেখবে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা; আইন উপদেষ্টা এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই তিনজনের কথা বলা হয়েছে, তার মানে এই নয় যে, অন্যরা এতে যুক্ত হতে পারবেন না।’

অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে জনপ্রশাসন সচিব তদন্ত করেন। তার (জনপ্রশাসন সচিব) বিরুদ্ধে ওঠা ডিসি নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ সরকার তদন্ত করবে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘অবশ্যই আমরা এটা তদন্ত করব, সরকার (তদন্ত) করবে। কিন্তু, এখানে দুটি জিনিস মিডিয়াকে মাথায় নিতে হবে। এটাও কিন্তু আমরা তলিয়ে দেখছি, যে ক্লিপটা সোশ্যাল মিডিয়ায় বহুল প্রচারিত হয়ে গেলো, সেটা কতখানি এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রডিউসড। সেটা কতখানি রিয়েল, কতখানি ফেক, আমাদের মতো সাধারণ মানুষ বলতে পারে না। ইমিডিয়েটলি যে সিদ্ধান্তটা হয়েছে, এটার টেকনিক্যাল ইন্টিগ্রিটিটা কী, সেটা জানার জন্য কেবিনেটে (উপদেষ্টা পরিষদে) কথা হয়েছে। সেটা ইনভেস্টিগেট করে ইমিডিয়েটলি দেখতে হবে। আমরা অবশ্যই তদন্ত করব।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘অত্যন্ত দায়িত্বশীল জায়গায় প্রতিষ্ঠিত কর্মকর্তাদের কোনো ধরনের দায়িত্বহীনতা মেনে নেওয়া যাবে না। এটাও আমাদের অনুশাসনের অধীনে আনতে হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে নিয়ে এরকম কথা। এটি নিয়ে অবশ্যই আমরা উদ্বিগ্ন। এ কথাটা (ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ) কেন উঠল, এটার সূত্র কী, এটার কারণ কী—সেগুলো তলিয়ে (খতিয়ে) দেখতে হবে। আমরা তো এখন এনালগ যুগে নেই। এজন্য আমাদের বাড়তি কষ্টটা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যেটাই আসছে, আমরা লাফ দিয়ে ধরে নিতে পারছি না, এটাই সত্য। আমাদের এটাকে যাচাই করতে হয়।’

একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ডিসি নিয়োগকে কেন্দ্র করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেদনে সিনিয়র সচিবের হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের স্ক্রিনশটও প্রকাশ করা হয়েছে।