জাতীয়

‘১৫ বছরের ঝঞ্ঝাট এক দিনে পরিষ্কার হবে না’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, জলাবদ্ধতা ঢাকা মহানগরীর দীর্ঘদিনের সমস্যা। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনে ক্রমান্বয়ে কিছু কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে মন্ত্রণালয় সভা আহ্বান করেছে। ধাপে ধাপে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। ১৫ বছরের ঝঞ্ঝাট এক দিনে পরিষ্কার হবে না। 

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বর্ষা মৌসুমে ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতার নিরসন বিষয়ে প্রস্তুতি ও কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা বা মন্ত্রণালয়ের যে অভিজ্ঞতা, সেটার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে এ বিষয়ে যারা বিশেষজ্ঞ আছেন এবং জলাবদ্ধতার ওপর যাদের গবেষণা আছে, তাদেরকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তাদের কথা আমরা শুনব, তাদের মতামত গ্রহণ করব এবং সেটা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব। জলাবদ্ধতা দূর না হলে আমরা বুঝব, জনগণ নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে মানুষের মুভমেন্ট কমে যাচ্ছে, মুভমেন্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না, স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অসুখ-বিসুখ হচ্ছে। তাই, জলাবদ্ধতা দূর করা একান্ত জরুরি। শহরের মধ্যে কেন পানি থাকবে, যেখানে এত কোটি কোটি টাকা খরচ করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হয়েছে! গলদটা কোথায়, বিশেষজ্ঞজনের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। 

হাসান আরিফ বলেন, শুধু মন্ত্রণালয়ের একমুখী উদ্যোগে জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব নয়। নাগরিকদেরকেও সচেতন হতে হবে। নর্দমায় প্লাস্টিকের বোতল, ওয়ান টাইম কাপ, পলিথিনের ব্যাগ এবং ডাবের খোসা মন্ত্রণালয় গিয়ে ফেলে আসে না, জনগণ ফেলে। জনগণ সচেতন না হলে মন্ত্রণালয় ১ কোটি পরিচ্ছন্নতাকর্মী দিয়েও নর্দমায় জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে পারবে না। নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকেও সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। 

সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. নজরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক এ এইচ এম কামরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলি আখতার হোসেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোস্তফা আলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন বিশেষজ্ঞজন উপস্থিত ছিলেন।