কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে কামাল হোসেন হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে সরকার।
বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে পাঠানো প্রতিবাদপত্রে সবগুলো সীমান্ত হত্যার ঘটনার তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই প্রতিবাদপত্র পাঠানোর কথা জানিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার এই ধরনের নির্মম কাজের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে, সীমান্তের সব ঘটনার তদন্ত, দায়ীদের চিহ্নিত করতে এবং বিচারের আওতায় আনতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ বলেছে, সীমান্ত হত্যাকাণ্ডকে ‘শূন্য পর্যায়ে’ নামিয়ে আনার জন্য ভারত সরকারের বারবার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।
বাংলাদেশ সরকার জোর দিয়ে বলেছে, সীমান্ত হত্যার এই ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অযাচিত। এই ধরনের কর্মকাণ্ড সীমান্ত কর্তৃপক্ষের জন্য যৌথ ভারত-বাংলাদেশ নির্দেশিকা, ১৯৭৫-এর বিধান লঙ্ঘন করে।
এর আগে, সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের যশপুর বিওপির কাছে ভারতের অভ্যন্তরে কামাল হোসেন (৩২) বিএসএফের গুলিতে নিহত হন। পরে তার মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ।
নিহত কামাল সদর দক্ষিণ উপজেলার কুড়িয়াপাড়া গ্রামের ইদু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় পাহাড়পুর সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন কামাল। বিএসএফের গুলিতে সেখানে তিনি নিহত হন। পরে বিএসএফ সদস্যরা একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তার মরদেহ নিয়ে যান। কামাল বিভিন্ন স্থানে পিঁপড়ার বাসা ভেঙে ডিম বিক্রি করতেন বলে জানায় স্থানীয়রা।