জাতীয়

দুই মাস ১৭ দিন পর খুলছে মেট্রোরেলের মিরপুর–১০ নম্বর স্টেশন

দুই মাস ১৭ দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার খুলছে মেট্রোরেলের মিরপুর–১০ নম্বর স্টেশন। সোমবার (১৪ অক্টোবর) উত্তরার দিয়াবাড়িতে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) প্রশাসনিক ভবনে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ।

তিনি বলেন, দুই মাস ১৭ দিন পর মঙ্গলবার সকাল থেকে চালু হচ্ছে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনটি। তবে স্টেশনটি পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করতে কত ব্যয় হয়েছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি তিনি।

ডিএমটিসিএল এমডি বলেন, ব্যয় কত হলো, সে প্রশ্ন এখনই করবেন না। এটা আমরা নিরূপণে কাজ করছি।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলার মধ্যে গত ১৮ জুলাই মিরপুর–১০ নম্বর গোলচত্বরে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ওই দিন বিকেল পাঁচটায় মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরদিন মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়। ২০ জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ডিএমটিসিএলের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেছিলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুটি মেরামত করে পুনরায় চালু করতে এক বছরের মতো সময় লাগতে পারে’।

২৭ জুলাই তখনকার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অবশ্য সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর–১০ স্টেশন ধ্বংসপ্রাপ্ত। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এটা এক বছরেও যন্ত্রপাতি এনে সচল করা সম্ভব হবে না।

সরকার পরিবর্তনের পর দুই মাসের মাথায় কাজীপাড়া স্টেশন চালু করা হয়। আর দুই মাস ১৭ দিনের মধ্যে মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনও চালু হতে যাচ্ছে।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, তৎকালীন সরকারের সময় মেট্রোরেলের দুটি স্টেশনের মেরামতের জন্য সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রাক্কলন করা হয়েছিল। তবে, কাজীপাড়া স্টেশন মেরামতে ২০ লাখ ২৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন মেরামতে কত টাকা খরচ হয়েছে, তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে ব্যয় খুবই অল্প বলে জানা গেছে।

জানা যায়, মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনে স্বয়ংক্রিয় টিকিট বিক্রির যন্ত্র, কম্পিউটার, ভাড়া পরিশোধ করে প্রবেশ ও বের হওয়ার স্বয়ংক্রিয় গেট, স্টেশনের ইলেকট্রনিক পর্দা ও কিছু কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কিছু সরঞ্জাম ও উপকরণ স্থানীয় বাজার থেকে কেনা হয়েছে। তবে, টিকিট কাটার যন্ত্র এবং ভাড়া পরিশোধ করে প্রবেশ ও বের হওয়ার গেটগুলো স্থানীয় বাজারে নেই। আমদানি করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, টিকিট যন্ত্র ও গেট উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ ও বিজয় সরণি স্টেশন থেকে নিয়ে বসানো হয়েছে। এসব স্টেশনে যাত্রীর চাপ তুলনামূলক কম। সেখানকার একাধিক মেশিন ও গেটের মধ্য থেকে কিছু স্থানান্তর করা হয়েছে।

এ ছাড়া, উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপোর ভেতর প্রদর্শনকেন্দ্রে আটটি গেট ছিল, সেগুলো এনে লাগানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আমদানি করে ওই সব জায়গায় গেট ও টিকিট কাটার যন্ত্রগুলো বসানো হবে।