জাতীয়

বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন

‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অভিবাসী কর্মীর নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত অভিবাসনের লক্ষ্যে ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন, ২০১৩’ অধিকতর সংশোধনের লক্ষ্যে ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী (সংশোধন) আইন, ২০২৩’ প্রণয়ন করা হয়। ২০২৩ সালের সংশোধিত আইনে ধারা ৩৫ নতুনভাবে প্রতিস্থাপিত হওয়ায় বর্তমানে শুধু রিক্রুটিং এজেন্সি কর্তৃক সরকারের অনুমোদন ছাড়া শাখা অফিস স্থাপন কিংবা সাব-এজেন্ট বা প্রতিনিধি নিয়োগ করলে বা কোনো ব্যক্তি নিজেকে সেই মর্মে উপস্থাপন করলে শাস্তি আরোপের বিধান রয়েছে। এ আইনের অধীন অন্যান্য অপরাধের কারণে মোবাইল কোর্ট কর্তৃক দণ্ড প্রদানের সুযোগ সঙ্কুচিত হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, অভিবাসন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন অনিয়ম প্রতিরোধ, অভিযোগ হ্রাস ও অপরাধ প্রতিহত করার লক্ষ্যে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দণ্ড আরোপের পরিধি বৃদ্ধির জন্য বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন, ২০১৩-এর মূল ধারা ৩৫ যা ২০২৩ সালের সংশোধিত আইন দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছিল, তা আংশিক সংশোধনপূর্বক ‘ধারা ৩৫ক’ ‘অন্যান্য অপরাধের দণ্ড’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

‘কোনো ব্যক্তি যদি এই আইনে সুনির্দিষ্টভাবে দণ্ডের বিধান উল্লেখ নাই এরূপ এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’

অভিবাসন সংক্রান্ত অভিযোগসমূহ তদারকি, এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম জোরদারকরণ এবং জরুরি প্রয়োজন বিবেচনায় বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন, ২০১৩-তে উপরোক্ত ধারা-৩৫ক জনস্বার্থে সংযোজন করা আবশ্যক।

অধ্যাদেশটি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন করা হয়েছে।