জাতীয়

হাসপাতাল থেকে হতাহতের তথ্য সরানো ব্যক্তিদের শাস্তি দেবে সরকার

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সময় আহত ও নিহত ব্যক্তিদের তথ্য ও কাগজপত্র হাসপাতাল থেকে সরানোর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

পরে সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, আহত-নিহতদের একটা ভেরিফায়েড তালিকা হয়েছে। এই তালিকা করতে গিয়ে একটি বিষয় আমাদের ভোগাচ্ছে— শহিদ বলেন আর আহত বলেন, উভয় ক্ষেত্রে। সে সময় হাসপাতালগুলো থেকে কাগজপত্র সরিয়ে ফেলার একটা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। অনেক কাগজপত্র সরিয়ে ফেলার কারণে আমরা অনেক জায়গা থেকে তথ্য পেলেও হাসপাতাল থেকে ক্রসচেক করতে পারছি না।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে ভেরিফায়েড লিস্ট বাদেও আরেকটা লিস্ট আছে। সেটাকে একটু মাঠ পর্যায় থেকে যাচাই-বাচাই করে আনতে হচ্ছে।

যারা কাগজপত্র সরিয়েছেন তাদের শাস্তি দেওয়া হবে, জানিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকার আজকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেসব হাসপাতাল থেকে এরকম কাগজপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে; যারা নির্দেশ দিয়েছেন, যারা কাগজপত্র সরিয়েছেন, তাদের সবার বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে এবং আমরা সেই দোষীদের শাস্তির মুখোমুখি করব।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।