জাতীয়

জেলা প্রশাসক নিয়োগে ঘুষের অভিযোগের সত্যতা পায়নি উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি

একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগে ঘুষের যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তার সত্যতা পায়নি অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টার সমন্বয়ে গঠিত ‘উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।

অভিযোগ তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টার সমন্বয়ে গঠিত ‘উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ এরই মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ–প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, কিছুদিন আগে ডিসি নিয়োগসংক্রান্ত বিষয়ে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। এ বিষয়ে সরকার উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে জানা গেছে, প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সত্য নয়।

সরকারের পক্ষ থেকে ওই পত্রিকাকে তাদের প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

চলতি মাসের শুরুতে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘আমার 5C হলেই চলবে, স্যার 10C রাখব’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান ও একই মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিবের হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনে ঘুষের বিষয়টি এসেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল।

এরপর ১০ অক্টোবর এই অভিযোগ তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টার সমন্বয়ে ‘উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করে সরকার। আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে আহ্বায়ক করে গঠিত এই উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির অপর দুই সদস্য ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটিকে এই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল, যা তারা ইতোমধ্যে জমা দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর।