রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বরে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে পোশাকশ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় দুই পোশাকশ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বিক্ষুব্ধ পোশাকশ্রমিকেরা পুলিশের একটি ও সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ দুই পোশাকশ্রমিক হলেন-আল আমিন (১৮) ও ঝুমা আক্তার (১৫)। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মোহাম্মদ ফারুক জানান, আহত দুজনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি কাফরুল থানাকে জানানো হয়েছে।
আল আমিনের সহকর্মী মোহাম্মদ কবির হোসেন জানান, আল আমিনের দুই কাঁধে ও ঝুমার ডান পায়ের গোড়ালিতে গুলি লাগে।আল আমিনের বাড়ি খুলনায়। তিনি মিরপুর-১৪ নম্বরের বিআরপি এলাকায় থাকেন। গুলিবিদ্ধ ঝুমা সেনটেক্স ফ্যাশনে অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। তার ডান পায়ে গুলি লেগেছে, জানিয়েছেন তার বড় বোন মর্জিনা বেগম।
ভাষানটেক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকেই রাস্তায় ছিলাম। গার্মেন্টস শ্রমিকরা হঠাৎ করে তাদের আন্দোলন থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডায়না গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবিতে কচুক্ষেত সড়কে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করেন তারা। পুলিশ ও সেনাবাহিনী শ্রমিকদের শান্ত করতে আসলে তাদের ওপর ইট–পাটকেল ছুড়তে থাকেন আন্দোলনকারীরা। আত্মরক্ষায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ সময় সেনাবাহিনীর গাড়ি ও পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন শ্রমিকেরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী কঠোর অবস্থানে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, কচুক্ষেত এলাকার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে গাড়ি দুটির আগুন নেভায় ফায়ার সার্ভিস।