জাতীয়

সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নে সরকারকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা কমাতে এবং সড়ক নিরাপত্তার জন্য জাতিসংঘের বৈশ্বিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়ে জাতিসংঘের সুপারিশকৃত সেফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচের আলোকে সরকারকে একটি ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে। এর জন্য সরকারকে আরও সক্রিয় হতে হবে বলে মন্তব্য করেন আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা।

আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের আয়োজনে নিরাপদ সড়ক জোরদার করতে ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন শীর্ষক গণমাধ্যমের সঙ্গে তরুণ সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকারী মারজানা মুনতাহা এ মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় মারজানা মুনতাহা বলেন, বিশ্বব্যাপী সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে ব্যাপকভিত্তিক কার্যক্রম পরিলক্ষিত হলেও বাংলাদেশে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়টি তুলনামূলকভাবে অনেক পিছিয়ে। ২০১৮ সালের আইন ও ২০২২ সালে সড়ক পরিবহন বিধিমালা জারি হলেও সড়ক নিরাপত্তার আচরণগত ঝুঁকির বিষয়গুলি সংক্ষিপ্ত আকারে উল্লেখ থাকায় সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে জটিলতা সৃষ্টি হয়।

একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সদস্য সচিব তানজীদ মোহাম্মদ সোহরাব রেজা বলেন, নিরাপদ সড়ক সবার মৌলিক অধিকার। আর সেই মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। সরকার যাতে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে সে জন্য তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।

সাংবাদিকদের পক্ষে জাগো নিউজের নিজস্ব প্রতিনিধি তৌহিদুজ্জামান তন্ময় বলেন, যখন একটি রোডক্র্যাশ হয়— তা নিয়ে গণমাধ্যমে এক/দুই দিন প্রচার হলেও এই প্রতিবেদনের ধারাবাহিকতা থাকে না এবং ক্র্যাশের যথাযথ কারণ পর্যালোচনা করা হয় না। যার ফলে প্রতিবারই হয় চালক, না হয় পথচারী দোষী সাব্যস্ত হয়। এখানে নীতিনির্ধারকসহ সড়ক ব্যবস্থাপনায় যারা আছেন তাদের করণীয়গুলো এ সব প্রতিবেদনে উঠে আসা উচিত।

এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ বলেন, সড়ক ব্যবহারকারী বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক, গাড়ি চালক, মোটরসাইকেল ব্যবহারকারী তাদেরকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে নিরাপদে সড়ক ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপদ সড়ক সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা জরুরি।