জাতীয়

‘বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার প্রত্যাশাকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে হাজারেরও বেশি মানুষ শহিদ হয়েছেন। একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়তেই তারা বুকে বলেট নিয়েছেন৷ তাদের এই প্রত্যাশাকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। 

শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে বিজয়া সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

হাসান আরিফ জানান, একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে৷ সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া৷ এটি কোন শপিং মলে বা দোকানে প্যাকেট আকারে কিনতে পাওয়া যায় না। সংস্কারের প্রধান উপকরণ হল একটি কলুষমুক্ত চিত্ত৷ মানুষের কলুষিত চিত্ত দিয়ে কখনও বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করা যায় না।

উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্যহীন সমাজে মানুষের পরিচয় ধর্মের ভিত্তিতে হবে না, কিংবা গায়ের রঙ বা বর্ণের ভিত্তিতে হবে না৷ এসব বিভাজন মানুষের সৃষ্টি। মানব সৃষ্ট এসব বৈষম্য নিরসন করতেই ছাত্র জনতা বুকে বুলেট ধারণ করেছে৷ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাত্র জনতার প্রত্যাশা পূরণে ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করছে৷ 

তিনি আরও বলেন, আগামীতে যে সরকার আসবে, আমার ধারণা তারাও এই প্রত্যাশা পূরণে সচেষ্ট থাকবেন৷ বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের যে যাত্রা ছাত্র জনতা বুকে বলেট নিয়ে শুরু করেছে, সে স্বপ্নযাত্রা বাস্তবয়ায়নে ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকারও অবদান রাখবে। 

মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি'র সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেবের সভাপতিত্বে বিজয়া সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড. তাপস চন্দ্র পাল। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, ভদন্ত করুনানন্দ থের, ফাদার এলবার্ট রোজারিও, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ এবং সম্পাদক স্বামী পূর্ণাত্মানন্দজী মহারাজ উপস্থিত ছিলেন।