লেবাননে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মধ্যে দেশে ফিরতে আগ্রহীরা নিবন্ধন করেও না ফিরে আসলে তাদের দায়-দায়িত্ব নিজেদের বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে সোমবার (৪ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লেবাননে চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে যে সকল অনিয়মিত প্রবাসীরা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ব্যবস্থাপনায় দেশে ফেরার যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে দেশে যাওয়ার বিষয়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করছেন, পরবর্তীতে দূতাবাসের ব্যবস্থাপনায় অথবা আইওএমের মাধ্যমে দেশে ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে না।
দূতাবাস জানায়, মেয়াদসহ মূল পাসপোর্ট আছে কিন্তু ইকামার মেয়াদ নেই অথবা ইকামা সংগ্রহ করেনি, মূল পাসপোর্ট আছে কিন্তু মেয়াদ উত্তীর্ণ কিংবা মূল পাসপোর্ট নেই। শুধু ফটোকপি আছে, শুধু বিএমইটি বা ম্যানপাওয়ার কার্ড আছে কিংবা পাসপোর্ট বা ইকামা বা বিএমইটি বা ম্যানপাওয়ার কার্ড নেই, শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদ আছে- এ ধরনের ব্যক্তিরা লেবাননে অনিয়মিত কর্মী হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকেন।
এছাড়া, লেবাননে এ ধরনের প্রবাসীরা আইনি জটিলতার সম্মুখীন হলে সব দায় দায়িত্ব নিজেদের বহন করতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, লেবানন ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম’র সহযোগিতায় যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে ইচ্ছুক আটকেপড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত আনা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত সাতটি ফ্লাইটে সর্বমোট ৩৩৮ জন বাংলাদেশিকে লেবানন থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
আইওএম’র পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা পকেটমানি, কিছু খাদ্যসামগ্রী ও প্রাথমিক মেডিক্যাল চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
লেবাননে ইসরায়েলি বোমা হামলায় এ পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।