দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো বলে দাবি করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ক্রিমিনাল যেই হোক, যে দলেরই হোক, তাকে কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। সে যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেনো, ছাড় দেওয়া হবে না।
বুধবার (৬ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ঢাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আজকের সভায় ঢাকার আইনশৃঙ্খলা কীভাবে উন্নয়ন করা যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো। তবে আরও কীভাবে উন্নত করা যায় সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। আশা করি, দিন দিন পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। চাঁদাবাজি অপকর্ম কাউকেই করতে দেওয়া হবে না।
সভার সিদ্ধান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আগে আপনার বলতেন, মোহাম্মদপুর একটা সময় ঝামেলাপূর্ণ এলাকা ছিল, বর্তমানে মোহাম্মদপুর মোটামুটি সহনীয় পর্যায়ে চলে আসছে। অন্যান্য এলাকায় এই মডেলে কাজ করা হবে।
তিনি বলেন, ট্রাফিকের একটা বড় সমস্যা আছে। রিকশাগুলো মেইন রাস্তায় চলে আসে। সরিয়ে দিলে আবারও চলে আসে, আমরা বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে বলব, তাদের ব্যাটারিগুলো যে চার্জ না করে। এছাড়া, রাস্তাঘাটে দোকানপাট বসে। এগুলোকে আপাতত যেন এখান থেকে সরায় দেওয়া যায়। আমি রাস্তার কথা বলছি, ফুটপাত নয়। আপনাদেরকেও সহযোগিতা করতে হবে, একটা দোকান সরিয়ে দিলে কিছুক্ষণ পর আবার আরেকটা দোকান চলে আসে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঢাকার বাইরে থেকে যেসব পুলিশ এসেছেন, তাদের অলিগলি চিনতে সময় লাগবে। তাদেরকে একটু সময় দিতে হবে।
বৈঠকে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিনই হামলা চালানো হয় থানাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায়। লুটপাট-ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়। ভেঙে পড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। বেড়ে যায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি, সংঘর্ষ।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত ১০ অগাস্ট থেকে স্বল্প পরিসরে ঢাকার সড়কে কাজ শুরু করে ট্রাফিক পুলিশ। শুরুতে মাসখানেক অল্প সদস্যের উপস্থিতি দেখা গেলেও শক্ত অবস্থানে যেতে দেখা যায়নি কাউকেই। মামলার কার্যক্রম শুরু হয় আরও পরে।
এরপর পুলিশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে সংস্কারের উদ্যোগের মধ্যে ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুতি করাসহ শুরু হয় ঢালাও বদলি। বিশেষ করে ঢাকার শীর্ষ পদ থেকে শুরু করে কনস্টেবল সদস্যদের বদলির উদ্যোগ নেওয়া হয়। ঢাকায় বদলি হয়ে আসা পুলিশ সদস্যদেরও পরিস্থিতি বুঝতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।