কেরানীগঞ্জে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ের সামনে অবস্থানরত জবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে নিজ অফিস থেকে নেমে এসে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকাল সাড়ে চারটা) সচিবালয়ের সামনে অবস্থান করে দাবি আদায়ে বিক্ষোভ করছেন জবি শিক্ষার্থীরা। তারা দাবি মেনে নেওয়ার লিখিতপত্র না পাওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ে অবস্থানের ঘোষণা দেন। তারা লিখিতপত্র নিয়ে বিজয় মিছিল সহকারে ক্যাম্পাসে ফিরবেন বলেও অঙ্গীকার করেন।
এ সময় একদিনের আল্টিমেটাম দিয়ে জবির কয়েকজন সমন্বয়ক বিক্ষোভ স্থগিত করার অনুরোধ জানালেও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মেনে নেননি। তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এ দিকে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সচিবালয় এলাকা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে সচিবালয়ের সবকটি গেট বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে সচিবালয়ের ভিতরে আটকা পড়েছেন অনেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সচিবালয়ের বাইরে এবং ভিতরে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
এ দিকে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, এগুলো যৌক্তিক দাবি। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থাকবে না, হল থাকবে না- এটা হতে পারে না। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, শিগগির শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হবে।
এর আগে কেরানীগঞ্জে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের দাবিসহ পাঁচ দফা ও ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে সচিবালয় সামনে অবস্থান নেন জবি শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘আমি কে, তুমি কে, জবিয়ান, জবিয়ান’, ‘মুলা না ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম, সংগ্রাম’, ‘অধিকার না অন্যায়, অধিকার, অধিকার’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি হলো, স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা আসতে হবে যে সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল), অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সব অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।