জাতীয়

ভৈরবে নদী বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার উদ্যোগ

 

ভৈরবে নদী বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

সোমবার (১১ নভেম্বর) ভৈরবে মেঘনা নদীর বন্দর পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা জানান।

কিশোরগঞ্জের ভৈরব নদী বন্দরকে ‘পুরনো নদী বন্দর’ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ভৈরব নদী বন্দরকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এখানে আন্তর্জাতিক মানের ৩টি পল্টুন নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি নিয়ে কিছু জটিলতা ছিল। সেটির সমাধান করা হয়েছে। গতকালই অনুমোদন হয়ে গেছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।’

আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্য কাজ শেষ করার লক্ষ্যে প্রস্ততি চলছে বলেও জানান তিনি।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশ্ব ব্যাংকের প্রজেক্টের মধ্য এটি একটি বড় প্রজেক্ট, যা আন্তর্জাতিকভাবে টেন্ডার হবে কয়েকদিনের মধ্য। এখানে জেটির কাজ করতে গিয়ে নদীর পাড়ের দোকানদারদের মালিকানার সঠিক কাগজপত্র থাকলে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। যাদের কাগজ নেই, তাদের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।’

কাজটি করতে গিয়ে ভৈরববাসীর সাময়িক অসুবিধা হলেও তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করে বলেন, কাজটি আগামী বছর শেষ হলে এর সুফল ভোগ করবে ভৈরবের জনগণ। এতে এখানকার ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতিসহ মালামাল উঠানামা, লঞ্চ চলাচলে ঘাটে লঞ্চ ভেড়ানোসহ যাত্রীদের উঠানামার অসুবিধা দূর হবে। এ ছাড়া আশুগঞ্জ পাড়েও ভারতীয় ঠিকাদারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক টার্মিনাল তৈরি হবে। এই টার্মিনালের কাজটি আগের সরকার টেন্ডার দিয়ে গেছে। আশুগঞ্জ টার্মিনাল ঘাট নির্মাণের পর চালু হলে ভারত- বাংলাদেশ যৌথভাবে ঘাটটি ব্যবহার করবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য রোববার (১০ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ে ভৈরবের কাজের ফাইলটি স্বাক্ষর করার পর আজ ভৈরবে এসে স্বচক্ষে কাজের জায়গা পরিদর্শন করলাম। এর কারণ হচ্ছে কাজটি দ্রুত যথাসময়ে আমরা শেষ করতে চাই। যথাসময়ে কাজ শেষ করতে না পারলে প্রজেক্টের টাকা বিশ্বব্যাংক ফেরত নিয়ে যাবে। কাজেই কাজের সুযোগ আমরা হারাতে চাই না।’

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আয়ূব আলী প্রমুখ।