জাপানের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি দুই দেশের বাণিজ্য সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করবে বলে মন্তব্য করে নবনিযুক্ত বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বরিশ উদ্দিন বলেছেন, এটা বাংলাদেশের সামনে সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলে দেবে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর ) বিকেলে বাণিজ্য উপদেষ্টার দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরির সৌজন্য সাক্ষাতের সময় উপদেষ্টা এই কথা বলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে রোববার (১০ নভেম্বর) শপথ নেন শিল্পগোষ্ঠী আকিজ-বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিন।
তার সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূত সাক্ষাত করতে এলে তাদের সময় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ও ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি) এবং দুদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এ সময় উপদেষ্টা বশির বলেন, “বাংলাদেশ উদীয়মান অর্থনীতির দেশ। জাপানের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশ শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে।”
বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার সম্পর্ককে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসের মানদণ্ডে উন্নীত বলে বর্ণনা করে সেখ বশির বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনা আছে; সুশাসন নিশ্চিত করে সরকার সে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায়।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের বন্ধুত্বের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ব্যবস্যা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের মধ্যে দিয়ে সেই বন্ধুত্ব আরও নিবিড় হবে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশই বাণিজ্য সুবিধা উপভোগ করতে পারে।”