ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, গদ্যশিল্পী ও মহাকাব্যিক ‘বিষাদসিন্ধুর’ রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেনের আজ ১৭৭তম জন্মবার্ষিকী।
১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর গৌরী নদীর তীরে লাহিনীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের এই পথিকৃৎ।
তার বাবার নাম সৈয়দ মীর মুয়াজ্জম হোসেন ও মায়ের নাম দৌলতন নেছা। ১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মহান এই মনীষী মৃত্যুবরণ করলে তাকে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে সমাহিত করা হয়।
বাংলা মুসলিম সমাজের দীর্ঘ অর্ধ শতাব্দীর জড়তা দূর করে আধুনিক ধারায় এবং রীতিতে সাহিত্যচর্চার সূত্রপাত ঘটে তার শিল্পকর্মের মধ্য দিয়ে। তার লেখা উপন্যাস ‘উদাসী পথিকের মনের কথা’ (১৮৯০), ‘গাজী মিয়ার বস্তানী’, ‘জমিদার দর্পণ’ (১৮৭৩), আত্মকাহিনীমূলক রচনাবলি ‘আমার জীবনী’, ‘বিবি কুলসুম’ (১৯১০), সহ বিভিন্ন গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, প্রবন্ধ, ও ধর্মবিষয়ক ৩৭টি বাংলা সাহিত্যের অমর সৃষ্টি রয়েছে।
বাংলা ভাষার অন্যতম এই প্রধান গদ্যশিল্পী মীর মশাররফ হোসেনের জন্মবার্ষিকী ঘিরে বাংলা একাডেমি, প্রশাসন, মীর মশাররফ হোসেন ডিগ্রি কলেজ, মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি সংসদসহ স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো মীরের সমাধিস্থল বালিয়াকান্দির নবাবপুরের পদমদীতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মীর মশাররফ হোসেনের সমাধীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমের আমন্ত্রণপত্র সূত্রে জানা যায়, মীর মশাররফ হোসেনের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার সকাল ৯টায় মীর মশাররফ হোসেনের সমাধীতে তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর বেলা ১১টায় সেমিনার।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করবেন রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলা একাডেমির সচিব (যুগ্ম সচিব) মোহা. নায়েব আলী, স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হাসিবুল হাসান এবং প্রবন্ধকার হিসেবে থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারিক মনজুর।
এছাড়াও আলোচক হিসেবে থাকবেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক এবং স্থানীয় সামাজিক সংগঠনের সভাপতিমণ্ডলী।