বাংলাদেশের এক দশমাংশ এলাকার মানুষকে দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার পুরোপুরি সম্পৃক্ত করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা।
তিনি বলেন, বর্তমানে পার্বত্যবাসী দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সঙ্গে এখনও পুরোপুরি সম্পৃক্ত হতে পারেনি।
রোববার (১৭ নভেম্বর) ঢাকার বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে পার্বত্য জেলা পরিষদের নিযুক্ত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের জন্য আয়োজিত পরিচিতি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সুপ্রদীপ চাকমা নবগঠিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমরা পার্বত্যবাসীরা যে পিছিয়ে নেই, তার প্রমাণ আপনারা দেশবাসীকে দেখাবেন। মানুষের উপকার ও সমাজের কল্যাণে মানবহিতৈষী এমন সব কাজে আপনাদের নিবেদিত হতে হবে। বাংলাদেশের এক দশমাংশ এলাকার মানুষকে মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করার সব কাজ আপনাদের করতে হবে।”
সামাজিক কাজের পাশাপাশি সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য করার আহ্বান রেখে উপদেষ্টা বলেন, “কফি, কাজু বাদাম চাষ, বাঁশ চাষ, ঝিরি, বনসংরক্ষণ করার পাশাপাশি নিজের এলাকায় কোয়ালিটি এডুকেশন গড়ে তুলতে হবে।” “আপনাদের একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকতে হবে। আপনাদের কাজের মাধ্যমে তার রিফ্লেকশন আমাদের কাছে ভেসে ওঠবে।”
সুপ্রদীপ চাকমা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ও ২০২৪ সালের ৩৬ জুলাই ছাত্র-জনতার সংগ্রামে যারা জড়িত থেকে নিহত হয়েছেন, তাদের সকলের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির কারণেই পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে গঠিত হয়েছে। আমরা চাই পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি, সমৃদ্ধি ও ঐক্য বজায় থাকুক। জাতীয় মূল স্রোতধারার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের সমৃদ্ধি আনয়নে কাজ করব।”
গত ৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলিমা বেগমের সই করা পৃথক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে প্রজ্ঞাপনে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর গঠিত পরিষদ বাতিল করা হয়।