আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এর সভাপতিত্বে বুধবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে পারবে- আইনটিতে এমন বিধান রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত একজন উপদেষ্টা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আইন সংশোধন করে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এই অধ্যাদেশ এনেছে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের জন্য ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩’ করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের শাসনের সময় ১৯৭৩ সালের আইনের আওতায় ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের বিচার করে তা কার্যকর করা হয়। একই অপরাধের অভিযোগে সংগঠন বা দল হিসেবে জামায়াতের বিচার করার জন্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ও রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার বিধান রেখে এই আইনের সংশোধনী প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করা হয়েছিল; কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা তা করেনি।
গত ১৯ নভেম্বর খসড়া অধ্যাদেশের বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান, আদালত যদি মনে করেন তাহলে অপরাধী রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করতে পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে, নির্বাচন কমিশন আছে। আদালত যদি মনে করেন তারা সেটা করতে পারবেন। তবে শাস্তি দেবেই, এমন নয়। এমন প্রস্তাবনা অধ্যাদেশে রয়েছে।