তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের (সংশোধিত-২০১৩) যথাযথ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি-বিআরটিএ’র উদ্যোগ ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সহযোগিতায় মোট ৬৬২ জন গণপরিবহন চালককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর জোয়ার সাহারা বিআরটিসি বাস ডিপোতে ‘পেশাজীবী গাড়ি চালকদের পেশাগত দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ’ শিরোনামে আয়োজিত প্রশিক্ষণে পেশাদার গাড়িচালকদের মাঝে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্য ক্ষতি বিষয়ক তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার অদুত রহমান ইমন।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১১, ১৪, ১৮ ও ২১ নভেম্বর’২৪ চার ধাপে এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
প্রশিক্ষণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধূমপানের কুফল, স্বাস্থ্য ঝুঁকি, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সম্পর্কে গণপরিবহন চালকদের (বাস, সিএনজি, লেগুনা, টেম্পু) অবহিত করা হয়। চালক ও চালকের সহকারীদের ধূমপানের ফলে গণপরিবহনে পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার হন যাত্রীরা, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা। ফলে ধূমপান না করেও একই রকম ক্ষতির শিকার হচ্ছেন তারা। এ সময় ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী চালকদের গণপরিবহনে ধূমপানের অপকারিতা বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা ও আইনের বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে বাস চালকদের সামনে বিস্তারিত উপস্থাপন করা হয়।
পাবলিক প্লেস যেমন বাস টার্মিনাল, বিমান বন্দর, রেলস্টেশন, নৌ-বন্দর, সরকারি বিভিন্ন অফিসসহ গণজমায়েত স্থলে ধূমপান আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যেসব স্থানে প্রত্যক্ষ ধূমপানকারীদের কারণে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন অনেক শিশু-মহিলাসহ সকল অধূমপায়ীরা।
গণপরিবহন শতভাগ তামাকমুক্ত রাখা ও আইনের বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ও বিআরটিএ-এর যৌথ উদ্যোগে প্রতি সপ্তাহেই নিয়মিতভাবে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।