দৈনিক নিউজ এজের সম্পাদক নূরুল কবির হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে এই অভিযোগ করেন তিনি।
এ ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রেস উইং জানিয়েছে।
প্রেস উইং আরও জানিয়েছে, দেশে কোনো সাংবাদিককে হয়রানি করা হবে না, এ বিষয়ে তারা কঠোর অবস্থানে রয়েছে। নুরুল কবিরকে নিয়ে সরকার বলেছে, তিনি দেশের অন্যতম শ্রদ্ধেয় সম্পাদক, যুক্তির বলিষ্ঠ কণ্ঠ এবং দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার অন্যতম অগ্রণী ধারক।
হয়রানির বিষয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক নূরুল কবির ফেসবুকে লিখেন, চলতি সপ্তাহে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে বিদেশে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে হয়রানি করে। ফেরার পথেও একই ধরনের পরিস্থিতির শিকার হন তিনি।
তিনি লেখেন, “গত ১৮ নভেম্বর একটি মিডিয়া কনফারেন্সে যোগ দিতে বিদেশে যাচ্ছিলাম। মনে করেছিলাম বিমানবন্দরে আমাকে হয়রানির দিন শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু ভুল ভেবেছিলাম। বরং দ্বিগুণ হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। এ সময় আমাকে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়। পরে ২২ নভেম্বর ফেরার সময়ও আবার এক ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়। দেশপ্রেমিক হওয়াটা গোয়েন্দা সংস্থার চোখে সন্দেহের বিষয়। সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থা বা সরকারে যারা তাদের তত্ত্বাবধান করেন তাদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলতে বাধ্য হলাম।”
তিনি আরও লিখেন, “দুই দশকের বেশি সময় ধরে যতবারই বিদেশ গিয়েছি ততবারই ঢাকা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ হেনস্তা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, অপেক্ষা করানো, পাসপোর্ট নিয়ে যাওয়া, গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে পাসপোর্টের পাতার ছবি তোলা। অনেক সময় ফ্লাইট ছাড়ার কয়েক মিনিট আগে কাগজপত্রগুলো ফেরত দেন তারা।”