জাতীয়

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি

ই-সিগারেট ও ভেপিং নিষিদ্ধসহ প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছেন তামাকবিরোধী তরুণ সমাজ ও আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং-এর সদস্যরা।  

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত ‘ই-সিগারেট ও ভেপিং নিষিদ্ধসহ প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবিতে ছাত্র-তরুণ সমাবেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ দাবি জানায় তারা। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।     

তরুণদের তামাকের ভয়াবহতা থেকে বাঁচাতে তারা ধূমপানের নির্ধারিত এলাকা বিলুপ্ত, বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ, খুচরা বিড়ি-সিগারেট বিক্রি বন্ধ, ই-সিগারেট নিষিদ্ধ, তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম বন্ধ ও সিগারেটের প্যাকেটে সতর্কবার্তা ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ বাড়ানোর দাবি জানায়। পাশাপাশি, তামাকজনিত মৃত্যু কমাতে, সংশোধিত আইনের দ্রুত পাসের জন্য জোড়ালো দাবি জানান তারা। 

এ সময় বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কর্মী সানজিদা জানান, বর্তমানে আমাদের দেশের ৪৮ শতাংশই তরুণ জনগোষ্ঠী। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো এর মধ্যে ৯ দশমিক ২ শতাংশ  তরুণ তামাক সেবন করে। তামাক কোম্পানির নানারকম অপপ্রচারের শিকার হচ্ছে কিশোর-তরুণেরা। আইনের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে তামাক কোম্পানিগুলো বিক্রয়কেন্দ্রে পণ্য প্রদর্শনীর নাম করে কৌশলে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। আর এসব বিজ্ঞাপনে তারা শিশু-কিশোরদের টার্গেট করছে। এতে করে তারা তামাকের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।

এদিকে, প্রচলিত সিগারেটের পাশাপাশি তরুণরা মারাত্মকভাবে ই-সিগারেটে আসক্ত এবং এর হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে তারা। স্বাস্থ্য ক্ষতির বিবেচনায় ই-সিগারেট নিষিদ্ধের যে সুপারিশ বিশেষজ্ঞ মহল থেকে দীর্ঘদিন ধরে করা হচ্ছে তা বাস্তবায়িত হলে তরুণদের ই-সিগারেটের আসক্তি থেকে রক্ষা করা সম্ভব।

দেশে ১৫ বছরের ওপরে ধূমপায়ীর সংখ্যা শতকরা ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং এর নিচে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ শিশুই ধূমপায়ী। এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা জরুরি।

আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং-এর সমন্বয়কারী মারজানা মুন্তাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহছানিয়া মিশন, স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমানসহ অনেকেই।