একজন মানুষকে ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্য থেকে চালু হয় ‘গিভিং টুইসডে' কনেসপ্ট। খুব স্বল্প সময়ে কনেসপ্টটি গ্রহণযোগ্যতা পায় এবং একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলনে পরিণত হয়। বিশ্বের কোটি মানুষকে উদার হতে এবং অন্যের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে এখন প্রায় ৬০টির বেশি দেশে প্রতি বছর দিবসটিই উদযাপন করা হয়।
প্রতি বছর গিভিং টুইসডে নামে এ দিবসটি উদযাপন করা হয়। এবার ৩ ডিসেম্বর পড়েছে মঙ্গলবার। একে উদারতা দিবসও বলা হয়।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দেশে গিভিং টুইসডে উদযাপন করতে যাচ্ছে অর্গানাইজেশন ফর ডিসএবলড ইম্প্রুভমেন্ট অ্যান্ড রাইটস (অদির বাংলাদেশ) নামের একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অধিকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
এবার ৩ ডিসেম্বর একসাথে দুটি দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছে সংস্থাটি। প্রতি বছর ৩ ডিসেম্বরকে বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৯২ সাল থেকে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে। শারীরিকভাবে অসম্পূর্ণ মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রদর্শন ও তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যেই এই দিবসটির সূচনা। পাশাপাশাশি সংস্থাটি গিভিং টুইসডে দিবসটিও উদযাপন করবে একই দিনে।
দিবসগুলো উদযাপনের জন্য দিনভর নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আয়োজন সংস্থাটি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আলোচনা অনুষ্ঠান, সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা, র্যালি প্রভৃতি। সকালে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। এরপর দুপুরে ধানমন্ডি ৪ খেলার মাঠে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সর্বশেষে মগবাজারের জাহাবক্স লেনে অবস্থিত সংস্থাটির কার্যালয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
উদারতা দিবস উপলক্ষে অদির প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করারও পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব শাকিল আজাদ মনন বলেন, ‘‘এ বছর একসাথে দুটি দিবস উদযাপনের পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা। এরই মধ্যে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।’’
শাকিল আজাদ মনন বলেন, ‘‘দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল বিকেলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের নিয়ে হাতিরঝিলে একটি র্যালি করারও পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’’
কর্মসূচির গুরুত্ব সর্ম্পকে তিনি বলেন, ‘‘প্রতিবন্ধী মানুষের কল্যাণে সমাজের উচ্চবিত্ত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন দাতা সংস্হা সামাজিক দায়বদ্ধতায় থেকে গিভিং প্র্যাকটিস অব্যাহত রাখবে। তাই এই কার্যক্রমকে এদেশে প্রতিষ্ঠিত করাই হলো মূল লক্ষ্য। আমাদের দেশে কোনো ব্যক্তি, সংগঠন বা সরকার কেউ এই দিবসটি উদযাপন করে না। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। আমরা অদির বাংলাদেশ ক্ষুদ্র সংগঠন হিসেবে এই দিবসটিকে দেশে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে সমাজের উচ্চবিত্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে উদ্ধুদ্ধ করতে চাই।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘আইন দুটির বাস্তব প্রয়োগে সরকারের জরুরি পদক্ষেপের পাশাপাশি উচ্চবিত্ত সমাজ, স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ, কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি বা সিএসআর এর আওতায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও দাতা সংস্থাগুলোকেও প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে এগিয়ে আসা উচিত।’’