বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘‘এলডিসি গ্রাজুয়েশনে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। প্রণোদনা কমানো নিয়ে যে পদক্ষেপ সেটা সঠিক। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর প্রণোদনা আর থাকবে না এবং রফতানি বাজারে আমাদেরকে শুল্ক দিয়ে ঢুকতে হবে। এলডিসি গ্রাজুয়েট দেশ হিসেবে আমাদেরকে প্রস্তুত হতে হবে। বস্ত্রশিল্পের যেকোনও নৈরাজ্য সমাধানে একত্রে কাজ করে যেতে হবে।’’
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ফার্মগেটের জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) সম্মেলন কক্ষে ‘বস্ত্র শিল্পের আধুনিকায়ন, বাংলাদেশের উন্নয়ন’ প্রতিপাদ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে ‘Overview of textile sector in Bangladesh : Problems, Prospects and Smart way out’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সোলার পাওয়ার ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে বস্ত্র ও পাট এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন আরো বলেন, ‘‘বস্ত্র খাতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এ খাতের খরচ কমাতে সোলার পাওয়ার অন্যতম সম্ভাব্য সমাধান। এ শিল্পের বিকাশে নতুনদের একাডেমিক আগ্রহ বাড়িয়ে পেশাগতভাবে দক্ষ করতে হবে।’’
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) অধ্যাপক ড. আইয়ুব খান বস্ত্রশিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরে বস্ত্র খাতে মেধা-ব্যাংক ও দক্ষতা গড়ে তুলতে বলেন। কটন নির্ভরতা থেকে কৃত্রিম ফাইবারের দিকে এগিয়ে আসার পরামর্শ তুলে ধরেন।
এর আগে, বিকেএমইএ সভাপতি মো. হাতেম সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ধরে যুগোপযোগী নীতির মাধ্যমে বস্ত্র খাতের উন্নয়নে কাজ করার বিষয়ে জোরারোপ করেন।
এর আগে, সেমিনারে বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। পরে বস্ত্র খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এ খাতে ব্যবসায়ী কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে মুক্ত আলোচনা করেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুব্রত শিকদার, আরিফুর রহমান খান, তসলিমা কানিজ নাহিদা, বিটিএমসি’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জিয়াউল হকসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আইয়ুব, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মো. শাহরিয়ার, বিএলএমইএ ভাইস প্রেসিডেন্ট সিকে দে ছায়ান, বিজিবিএ সভাপতি মোহাম্মদ পাবেল উপস্থিত ছিলেন।