জাতীয়

শিশুদের সুরক্ষায় পরিবারকে এগিয়ে আসতে হবে: মমতাজ আহমেদ

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ বলেছেন, ‘শিশুদের সুরক্ষায় সবার আগে বাবা-মা তথা পরিবারকে সবার চেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করতে হবে। সমাজের নানান পর্যায়ে শিশুদের যৌন নিপীড়ন থেকে রক্ষা পেতে এর থেকে বিকল্প নেই।’

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীতে এডুকো বাংলাদেশ আয়োজিত শিশু অধিকার এবং সুস্থতার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ রিপোর্ট ২০২৪ এর আয়োজিত এক উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্টে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “শিশুদের সুরক্ষার বিষয়ে বলব যে ডেঞ্জার কামস ফ্রম দ্যা সেফেস্ট কর্নার (বিপদ আসে সবচেয়ে নিরাপদ দিক থেকে)। আমরা বাবা-মা হিসেবে শিশু কার সঙ্গে কতটুকু মেলামেশা করবে তা আমাদেরকেই ঘরে শিক্ষা দিতে হবে।”

ঢাকার বনানীতে অনুষ্ঠিত এ প্রোগ্রামে নীতিনির্ধারক, বিশেষজ্ঞ এবং তরুণরা সমবেত হন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীন এনজিও বিষয়ক মহাপরিচালক (ইনচার্জ) মো. আনোয়ার হোসেন, এডুকোর ডিরেক্টর অব প্রোগ্রামস আব্দুর রহিম উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদনের ফলাফল উপস্থাপন করেন ইন্সপিরার পোর্টফোলিও অ্যাডভাইজরি অ্যান্ড কনসাল্টিং লিমিটেডের ম্যানেজার মোহাম্মদ আদনান রহমান।

সমীক্ষায় দেখা যায়, তিন থেকে ছয় শতাংশ শিশুরা পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করেনি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক মাত্র ৩% প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ প্রশিক্ষণ লাভ করেন। এছাড়াও, নারী অক্ষমতা এবং উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ৯৬% নারী এবং মেয়েরা শারীরিক, মানসিক, যৌন এবং মানসিক সহিংসতার প্রতিবন্ধীতার মুখোমুখি হন।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, সবচেয়ে বেশি বাল্যবিয়ের হারের ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান করছে।

মমতাজ আহমেদ বলেন, “এই প্রতিবেদনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর আলোকপাত করেছে। যা শিশুদের জীবনকে প্রভাবিত করে চলেছে।”

তিনি বলেন, ‘‘এনজিওগুলো সরকারের আয়নার মতো, তাই আমরা বুঝতে পারছি আমরা কোথায় আছি।’’

ফলাফল এবং সুপারিশের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তিনি এডুকো এবং ইন্সপিরাকে ধন্যবাদ জানান।