বাংলাদেশ হাইকমিশন ক্যানেবেরা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রবাসী বাংলাদেশি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিজি ও সামোয়ার ১২ প্রবাসীকে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ হাইকমিশন ক্যানবেরা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গতকাল আন্তর্জাতিক প্রবাসী দিবস ও জাতীয় অভিবাসী দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বৈধভাবে রেমিট্যান্স প্রেরণ, বাংলাদেশি পণ্য আমদানি এবং শিল্প, সাহিত্য, গবেষণায় অবদানসহ ২য় প্রজন্মের বাংলাদেশিদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতার জন্য এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ হাইকমিশন ক্যানবেরার চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ড. মো. দেওয়ান শাহরিয়ার ফিরোজ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তদের হাতে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে সেতুবন্ধন হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কাজ করবেন বলে আশবাদ ব্যক্ত করেন। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্য তুলে ধরার ওপরও জোর দেন তিনি।
বৈধভাবে রেমিট্যান্স প্রেরণের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মো. শহিদুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন নাঈম, সাফাত বিন আজাদ, নিউজিল্যান্ড প্রবাসী ফয়সাল মিয়া, সামোয়া প্রবাসী মো. শাহাজান এবং বাংলাদেশি পণ্য আমদানির জন্য অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মোহাম্মদ মুরাদ ইউসুফ ও নিউজিল্যান্ড প্রবাসী মো. সাইফুল ইসলাম খানকে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়া শিল্প, সাহিত্য, গবেষণায় অবদানের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ড. মোহাম্মাদ আলী মনি, প্রফেসর এম আখতার হোসেন ও ফিজি প্রবাসী ড. কবির আল মামুনকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। ২য় প্রজন্মের বাংলাদেশি হিসেবে সফলদের মধ্যে রামিম জাইয়ান খান ও এ্যানি রেনেসা সাবরিনকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম ও কল্যাণ) মো. সালাহউদ্দিনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবসের এ অনুষ্ঠানে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণকারীরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। এসময় বক্তব্য প্রদান করেন ক্যানবেরায় কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আবুল হাসান সৈয়দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশি সৈয়দ আব্দুল্লাহ সাঈদ।
অনুষ্ঠানে শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।