বঙ্গোপসাগর অঞ্চলকে সহযোগিতা ও প্রতিযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, “এই অঞ্চলকে সংঘাতের পরিবর্তে সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।”
রোববার (২২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এবং ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপিং ইকোনমিকস (আইডিই-জেট্রো) আয়োজিত ‘বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে পুনরায় সংযোগ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “বঙ্গোপসাগর তার অর্থনৈতিক ও ভূ-কৌশলগত অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর আগ্রহের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। তবে এই অঞ্চল যেন সংঘাতমুক্ত থেকে উন্নয়ন ও সহযোগিতার মডেল হয়ে ওঠে, সে জন্য বাংলাদেশ নিরলসভাবে কাজ করছে।”
রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা সাত বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তাদের অধিকার ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা না গেলে এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এজন্য সকল অংশীজনের সমন্বিত সহযোগিতা প্রয়োজন।”
সেমিনারের বিশেষ অতিথি, ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনিরো মাতারবাড়ী বন্দরের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “এই বন্দর বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের কানেক্টিভিটিকে আরও শক্তিশালী করবে। তবে এর জন্য বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বোঝাপড়ার উন্নয়ন জরুরি।”
বিআইআইএসএসের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফএম গাওসুল আজম সরকার এবং মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস স্বাগত বক্তব্যে অঞ্চলের উন্নয়ন ও সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
বঙ্গোপসাগরকে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টা এখন সময়ের দাবি।