জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবার যৌথ প্রতিবাদ সভা করেছে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত কর্মকর্তারা।
সংস্কার কমিশন সরকারের উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রাখার যে সুপারিশ করার কথা বলছে, সেটিকে বৈষম্যমূলক, অযৌক্তিক, ষড়যন্ত্রমূলক বলে মনে করেন প্রশাসন ক্যাডারের এসব কর্মকর্তা।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে প্রশাসন ক্যাডারের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বাসা) যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো. আনোয়ার উল্ল্যাহ্। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি এ বি এম আব্দুস সাত্তার ও বাসা মহাসচিব মাহবুবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সম্প্রতি উপসচিব পদে ৫০ শতাংশ কোটা প্রথা নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে পদত্যাগসহ সংস্কার কমিশনের পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন উপস্থিত কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খান, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. এ. বি. এম. ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজে এর প্রেসিডেন্ট শহীদুল ইসলাম, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ এবং দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার উপ সম্পাদক বি এম জাহাঙ্গীর।
আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিসিএস ১৯৭৩ ব্যাচের মাহমুদ হোসেন আলমগীর, বিয়াম ফাউন্ডেশন পরিচালনা পর্ষদের উপদেষ্টা ও ১৯৭৯ ব্যাচের এস এম জহরুল ইসলাম, ১৯৮১ ব্যাচের হেলালুজ্জামান, বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ও ১৯৮২ ব্যাচের এ. বি. এম. আবদুস সাত্তার, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি বিজন কান্তি সরকার, প্রত্যাশা সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মো. আব্দুল বারী, অফিসার্স ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ এম এ খালেক, ১৯৮৪ ব্যাচের নিয়ামত উল্লাহ ও শেখ আলাউদ্দিন, বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সম্পাদক মোহাম্মদ মসিউর রহমান, সদস্য মো. তৌহিদুর রহমান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, ১৯৮৬ ব্যাচের মো. জাকির হোসেন কামাল, মঞ্জুর মোর্শেদ ও শামীম আল মামুন।
গত ১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করবেন তারা।
বর্তমান বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়।
প্রতিবাদ সভায় সারাদেশ থেকে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, ইউএনওরা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।