জাতীয়

সচিবালয়ে আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার ফাইটারের মৃত্যু

সচিবালয়ে আগুন নেভানোর সময় ট্রাকচাপায় আহত হওয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মী মো. সোহানুর জামান নয়নের (২৪) মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আগুন নেভানোর সময় আরেক ফায়ার কর্মী পা কেটে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল অগ্নিকাণ্ডের পর বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, “আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর নয়নের মৃত্যু হয়।”

তিনি আরো বলেন, “রাত ১টা ৫২ মিনিটে আমরা মেসেজ পাই সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লেগেছে। ১টা ৫৪ মিনিটের মধ্যে আমাদের ইউনিট পৌঁছে যায়। ১৯টি ইউনিটের চেষ্টায় ৫ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।”

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ফায়ার ফাইটার সোহানুর জামান নয়ন ২০২২ সালে ৬১তম ব্যাচে যোগ দিয়েছিলেন অগ্নি নির্বাপক বাহিনীতে। তিনি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার আটপনিয়া গ্রামের আক্তারুজ্জামানের ছেলে। ২৪ বছর বয়সী নয়ন ছিলেন দুই ভাইবোনের মধ্যে ছোট। তিনি তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনে দায়িত্বরত ছিলেন।

জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ফায়ার ফাইটার নয়ন পানির লাইন দিতে রাস্তা পার হওয়ার সময় সচিবালয়ের দক্ষিণ দিকে ১ নম্বর ফটকের সামনে ট্রাকচাপায় গুরুতর আহত হন। পরে তাকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিসের ১৯ ইউনিট। অন্যদিকে, উদ্ধারে সহায়তা করেছে সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রথমে আটটি ইউনিট কাজ করলেও পরে ইউনিটের সংখ্যা বাড়ানো হয়।

গভীর রাতে ‘ভয়াবহ’ এ আগুন লাগার পর সচিবালয় এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। রাতেই সেখানে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয় বলে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানান।

আগুন লাগার পরপরই জিপিও থেকে শিক্ষা ভবন পর্যন্ত সচিবালয়ের সামনের রাস্তায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।