মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক বলেছেন, “সচিবালয়ের মতো সুরক্ষিত জায়গায় আগুন সবাইকে উদ্বিগ্ন করেছে। সচিবালয়ের ভেতরে কিছু স্থাপনা ও সিঁড়ির কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো দ্রুত যেতে পারেনি।”
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেটে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সচিবালয়ে এ অগ্নিকাণ্ড দেখে আপনার কী মনে হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “তদন্ত শেষ না হওয়ার আগে কিছু্ই বলা যাচ্ছে না। এটা একটা দুর্যোগ তো বটেই। যখন হয়েছে, তখন তো অফিস বন্ধ ছিল। তদন্ত হচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরেই বলা যাবে।”
সচিবালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটল, আপনার অভিজ্ঞতা কী? এ প্রশ্নের জবাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা বলেন, “আমার অভিজ্ঞতা যে, এত সুরক্ষিত জায়গায় এরকম আগুন লেগেছে, সেটা আমাদের সবাইকে উদ্বিগ্ন করেছে। আশা করছি, পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরে এটা অতি দ্রুত জানা যাবে। তখন বুঝতে পারব যে, এ আগুনটা কীভাবে লেগেছে?”
আগুন নেভাতে ছয় ঘণ্টা সময় লেগেছে। কেন এত সময় লাগল? জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ফায়ার সার্ভিসের ভাষ্যমতে, আন্তঃমন্ত্রণালয়ে যাওয়ার জন্য কিছু স্থাপনা, সিঁড়ি ইত্যাদি করা হয়েছে, যার কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো দ্রুত যেতে পারেনি। তা না হলে সঠিক সময়ে যেতে পারত। গাড়িগুলো সঠিক সময়ে ঢুকতে পারলে ফায়ার সার্ভিসের ডিজির ভাষ্যমতে, আরও দেড় ঘণ্টা আগে আগুন নেভাতে পারত।”
সরেজমিন পরিদর্শনে ভেতরের কী অবস্থা দেখলেন, জানতে চাইলে ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক বলেন, “ভেতরে আগুন নিভে গেছে। আগুন তো এখন নেই। সচিবালয়ে কাজ হচ্ছে। আমার মন্ত্রণালয়ে কাজ হচ্ছে। আমি এতক্ষণ মন্ত্রণালয়ে কাজ করে এখন বের হয়েছি।”
এটা নাশকতা কি না, এ প্রশ্নের উপদেষ্টা বলেন, “তদন্ত হওয়ার আগে এটা বলা যাচ্ছে না যে, কী হয়েছে? এটার জন্য তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।”