আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতীয় ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির তথ্য পত্রিকা মারফত জানার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, “এ নিয়ে বাংলাদেশের কিছু করার নেই।”
বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি থাকলেও তার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত। এ বিষয়ে ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শুধু ভারতে তার অবস্থান সহজ করার জন্যই নেওয়া হয়েছে।
তারা আরও জানিয়েছেন, ভারতে শরণার্থী ও আশ্রয় সংক্রান্ত কোনো নির্দিষ্ট আইন নেই। তাই, ‘শেখ হাসিনাকে ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে’ মর্মে যেসব অনুমাননির্ভর খবর ছড়াচ্ছে, তা সঠিক নয়। ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন ছিল।
এ প্রক্রিয়া আঞ্চলিক বিদেশি নিবন্ধন অফিসের (এফআরআরও) মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গত ২৩ ডিসেম্বর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আনুষ্ঠানিক নোট পাঠিয়ে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানায়।
এদিকে, বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ জুলাই মাসে বলপ্রয়োগ ও হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মাজুমদার এ বিষয়ে জানিয়েছেন, গুমের সঙ্গে জড়িত ২২ জন এবং বলপ্রয়োগ ও হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ৭৫ জনসহ মোট ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।