নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বহুল প্রতীক্ষিত চট্টগ্রাম জেলাধীন বাঁশবাড়িয়া, সীতাকুণ্ড-গুপ্তছড়া, সন্দ্বীপ নৌপথে ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন করা হবে সোমবার (২৪ মার্চ)।
এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত সমাবেশে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন করবেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ এবং স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।
নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিতের লক্ষ্যে একটি বৈষম্যহীন দেশ গড়ার তাগিদে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যূথানে যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, সেই ঐক্যের ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ সরাসরি ফেরি সার্ভিস চালুর মাধ্যমে সন্দ্বীপবাসীর দীর্ঘ দিনের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হবে, যার ফলে সন্দ্বীপবাসী একটি নিরাপদ নৌযোগাযোগ ব্যবস্থা পাবে। বাস, ট্রাক, ট্যাংক লরি, মিনিবাস, প্রাইভেট কারসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় সন্দ্বীপবাসীর জীবনযাত্রার মান ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা বেড়ে যাবে। ফেরি সার্ভিস চালু হলে সন্দ্বীপে পর্যটকসহ পর্যটনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। ফলে সন্দ্বীপ অচিরেই দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকার মর্যাদা লাভ করবে এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে।