ক্রীড়া প্রতিবেদক: বিসিএলের শেষ রাউন্ডের প্রথম দিন শেষে চট্টগ্রামে মো. মিঠুন ও শাহরিয়ার নাফীসের রান ছিল যথাক্রমে ৮৮ ও ৭৯। তাদের দল প্রাইম ব্যাংকের রান ছিল ২ উইকেটে ২৭২।
কিন্তু সোমবার দ্বিতীয় দিন সব যেন ওলট-পালট হয়ে গেল! সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান এদিন নব্বইয়ের ঘরে আউট হয়েছেন। মিঠুনের ব্যাট থেকে এসেছে ৯৫ ও নাফীস করেছেন ৯৬। এই দুই ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর প্রাইম ব্যাংকের ইনিংসে ধস নামে।
শেষ দিকে অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক ৩৫ রান করে দলের স্কোরকে ৩৮৫ রান পর্যন্ত টেনে নেন। দ্বিতীয় দিনে ১১৩ রান তুলতেই শেষ আট ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। এ জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের পেসার আবুল হাসান রাজু ও স্পিনার নাজমুল অপুকে। প্রথম দিন উইকেট না পেলেও দ্বিতীয় দিন ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন এই দুই বোলার।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইস্ট জোনের দুই ওপেনার লিটন কুমার ও সাদমান ইসলাম ৭৪ রান যোগ করেন। পুরো মৌসুমে দূর্দান্ত খেলা লিটন নিজের স্বভাবসুলভ খেলা দ্রুত ৩৮ রান তুলে নেন। এরপরই লিটনের সঙ্গে ছন্দপতন হয় ইস্ট জোনের। ৭৪ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর ৯৩ রানেই আরো দুই উইকেট হারায় তারা।
লিটন ৩৮ রানে ফিরে যাওয়ার পর মুমিনুল হক ৪ ও রাজিন সালেহ ৩ রানে সাজঘরের পথ ধরেন। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলে যান সাদমান ইসলাম। চতুর্থ উইকেটে অলক কাপালিকে নিয়ে ৬৬ রানের জুটি গড়েন সাদমান।
দিন শেষে সাদমান ৮৬ ও কাপালি ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ইস্ট জোনের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৫৯। প্রাইম ব্যাংকের চেয়ে এখনো ২২৬ রানে পিছিয়ে তারা। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে সোহাগ গাজী ২টি ও আব্দুর রাজ্জাক ১টি উইকেট নেন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ মে ২০১৫/ইয়াসিন/নেছার