রাহাত সাইফুল : বাংলাদেশের স্বনামধন্য চলচ্চিত্র পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। গত পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্যামেরার পেছনে পরিচালক হিসেবে সক্রিয় ছিলেন তিনি। মাঝে মাঝে তাকে সিনেমার পর্দাতেও দেখা যেত। গত বছরের ১১ জানুয়ারি লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান এ গুণী নির্মাতা। কিন্তু তিনি চলে গেলেও মুক্তির অপেক্ষায় রেখে যান অন্তরঙ্গ এবং ভুল যদি হয় শিরোনামের দুটি সিনেমা। প্রখ্যাত এ নির্মাতা অন্তরঙ্গ সিনেমার আগেই ভুল যদি হয় সিনেমাটির কাজ আগে শুরু করেছিলেন। তবে ভুল যদি হয় সিনেমাটির আগেই গত বছর নভেম্বরে অন্তরঙ্গ সিনেমাটি মুক্তি দেয়া হয়। চাষী নজরুল ইসলামের প্রয়ান দিবসকে সামনে রেখে তার শেষ স্মৃতি হিসেবে আগামী কাল ৮ জানুয়ারি সারা দেশে মুক্তি পাচ্ছে ভুল যদি হয় সিনেমাটি।প্রয়াত এ নির্মাতার ভুল যদি হয় সিনেমাটিতে অভিনয়ের মাধ্যমে ঢালিউডে পথ চলা শুরু করেন আলিশা প্রধান। এতে আলিশার বিপরীতে অভিনয় করেন চিত্রনায়ক সম্রাট ও ইমন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে গুণী এ নির্মাতার অবদান রয়েছে অনেক। বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত সিনেমা ওরা ১১ জন। এটি স্বাধীন বাংলাদেশ ও পরিচালক চাষী নজরুলেরও প্রথম সিনেমা। ১৯৭২ সালে সিনেমাটি মুক্তি পায়। এর পরে ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায় তার পরিচালিত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র সংগ্রাম। ২০১৩ সাল পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত একের পর এক জনপ্রিয় সব বাংলা সিনেমা। এর মধ্যে রয়েছে ভালো মানুষ(১৯৭৫), বাজিমাত (১৯৭৮), দেবদাস (১৯৮২), চন্দ্রকথা (১৯৮৫), শুভদা (১৯৮৬), লেডি স্মাগলার (১৯৮৬), মিয়া ভাই (১৯৮৭),বেহুলা লক্ষিন্দর (১৯৮৭), বিরহ ব্যথা (১৯৮৮), মহাযুদ্ধ (১৯৮৮), বাসনা (১৯৮৯), দাঙ্গা ফাসাদ (১৯৯০), পদ্মা মেঘনা যমুনা(১৯৯১), দেশ জাতি জিয়া (১৯৯৩), আজকের প্রতিবাদ (১৯৯৫), শিল্পী (১৯৯৫), হাঙর নদী গ্রেনেড (১৯৯৫), হাছন রাজা(২০০১), কামালপুরের যুদ্ধ (২০০২), মেঘের পরে মেঘ (২০০৪), শাস্তি (২০০৫), সুভা (২০০৫), ধ্রুবতারা (২০০৬), দুই পুরুষ(২০১১)। এ ছাড়া ২০১৩ সালে তিনি দ্বিতীয় বারের মতো দেবদাস চলচ্চিত্রটি তৈরি করেন। তবে এবার সেটি করা হয় রঙিন সংস্করণে।