বাজেট

সুস্বাদু বিলাতি গাব

সুস্বাদু বিলাতি গাব

আনোয়ার হোসেন শাহীনমাগুরা, ১৯ সেপ্টেম্বর: ঘন সবুজ পাতার ফাঁকে টকটকে সোনালি আভার লাল রঙের বিলাতি গাব দেখলে চোখ জুড়ায়। গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের সুন্দর ও সুস্বাদু ফলগুলোর মধ্যে বিলাতি গাব অন্যতম।

আমাদের দেশে দুই ধরনের গাব দেখা যায়। একটি হচ্ছে দেশি অন্যটি বিলাতি গাব । বিলাতি গাব সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও পুষ্টি গুণ সম্পন্ন।

মাগুরা, কুষ্টিয়া, যশোর, ফরিদপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, পিরোজপুর এলাকায় প্রচুর বিলাতি গাব জন্মে । বিলাতী গাবের ত্বক রেশমী লোমে আবৃত, ফলের শাঁস মেটে। গাছের কাঠ শক্ত প্রকৃতির। কাঠ  ঘর তৈরির কাজে লাগে।

বিলাতি গাব একটি ওষুধিগুণসম্পন্ন ও বেশ পুষ্টিকর ফল। গাব কার্বহাইড্রেট ও মিনারেল সমৃদ্ধ একটি ফল। বীজ খোসা বাদে এর মাংসর মাখনের ন্যায় নরম সাদা অংশ হালকা মিষ্টি স্বাদের এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ফ্রস ফল হিসেবে খাওয়া হয়।

প্রায় সব ধরনের মাটিতে গাবের চাষ করা যায়। তবে উর্বর মাটিতে বিলাতী গাব ভাল হয়। গাছে তেমন যত্নের প্রয়োজন হয় না। শীতের  শেষে গাছে ফুল আসে এবং বর্ষার শেষ ভাগে ফল পাকে। গাবগাছ ৮-১০ বছর বয়স হলে স্বাভাবিক ফলন দিতে আরম্ভ করে। গাব ফলনগুলি পুষ্ট হলে উজ্জল ও চকচকে হবে। পুষ্ট হলেই ফল সংগ্রহ  করা হয়।

মাগুরার বিভিন্ন এলাকায় এখন গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে গোলাপি রঙের গাব। বিলেতি গাব হিসেবে এটি পরিচিত। এখানকার বাজারে বাগানের মালিক ও গৃহস্থরা যে দামে একটি গাব বেচেন, ঢাকায় তা অন্তত দশগুণ বেশি দামে বিক্রি হয়। বলতে গেলে স্থানীয় বাগানের মালিকেরা পানির দরে গাব বিক্রি করছেন।

বর্ষার মাঝামাঝি থেকে এখানকার হাট-বাজারে গাব ওঠে। মৌসুম থাকে এক থেকে দেড় মাস। সুস্বাদু এই গাব ১শ’টি বিক্রি করে পাচ্ছেন ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা, ঢাকার বাজারে বিক্রি হয় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫শ’ টাকায়।

মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া গ্রামের কৃষক আসগর আলী জানান, আগে প্রচুর বিলাতি গাবগাছ দেখা যেত। এখন আর এ গাছ কেউ রোপণ করে না। কোথাও অনাদরে অযত্নে বেড়ে  উঠে গাব গাছ।

মাগুরা সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুব্রত চক্রবর্তী জানান, কৃষি বিভাগের উদ্যেগে গ্রামের পতীত জমিতে বিলাতি গাব গাছ রোপনের জন্য কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।

   

রাইজিংবিডি/ শাহীন/ এমএস