জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না বলেই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দাবি করেছেন দলটির নেতা বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫২তম জন্মদিন উপলক্ষে এর আয়োজন করেন ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল’ নামের একটি সংগঠন।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে শেষ হচ্ছে কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ। এই পরিস্থিতিতে গত ১৮ নভেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ও শক্তিশালী করতে প্রক্রিয়া নিয়ে বিএনপির প্রস্তাব ও সুপারিশ তুলে ধরেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তবে প্রস্তাবকে ‘অন্তঃসারশূন্য’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করে বক্তব্য দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমেই নতুন ইসি গঠন হবে।
গয়েশ্বর বলেন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে খালেদা জিয়া যে প্রস্তাব দিয়েছেন তাতে সুষ্ঠু নির্বাচনের রূপরেখা রয়েছে। কিন্তু সরকার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। এতেই বোঝা যায়, আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকলে নির্বাচনে কেউ অপকর্ম করতে পারবে না। সেনাবাহিনীর ওপর মানুষের আস্থা রয়েছে। এজন্য মানুষ এখনো সেনাবাহিনীকে শ্রদ্ধা করে।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জ্বালাও-পোড়াও করে ক্ষমতায় বেশি দিন টিকে থাকা যায় না। তারা (আওয়ামী লীগ) মানুষের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তাই জনগণ এখন নির্বাচন চায়। আর সেই নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুর রায় চৌধুরী, বাংলাদেশ স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন সেলিম প্রমুখ।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ নভেম্বর ২০১৬/রেজা/সাইফ