কক্সবাজারের টেকনাফ সৈকতে একটি মৃত তিমি ভেসে এসেছে।
সোমবার (২২ জুন) বেলা ১১টার দিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর পয়েন্টে মৃত তিমিটি স্থানীয়রা দেখতে পায়। এটির গায়ে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই।
দ্বীপের বাসিন্দা জসিম মাহমুদ জানান, ঘোলারচর পয়েন্টের সৈকতে প্রথমে শিশুরা এটি দেখতে পায়। তিনি সেখানে গিয়ে ৬ ফুট লম্বা মৃত প্রাণীটি দেখতে পান। বর্তমানে সেটি বালিয়াড়িতে পড়ে আছে।
তিনি বলেন, গত শনিবার শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সৈকতে যে তিমিটি দেখা গিয়েছিল, এটি সেটি নয়। সেটি এটার চেয়ে বড়।
শনিবার (২০ জুন) পশ্চিমপাড়া সৈকতে একটি বিরল প্রজাতির বাচ্চা তিমির দেখা মেলে। সেটি সিমেন্টের ব্লকে আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত হয়। পরে জোয়ারের পানিতে এসে সৈকতে আটকা পড়লে স্থানীয় যুবক ও জেলেরা সেটিকে সাগরে ফিরে যেতে সহায়তা করে। ওই বাচ্চা তিমিটি ব্রিডস হোয়েল প্রজাতির বলে জানান গবেষকরা।
ছবি এবং ভিডিও দেখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সাইদুর রহমান মৃত জলজপ্রাণীটি তিমি বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এটি তিমির বাচ্চা বলা ঠিক হবে না। সাইজ দেখে মনে হচ্ছে মধ্যবয়সী তিমি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৮ প্রজাপতির তিমি আছে বলে রেকর্ড রয়েছে। এরমধ্যে মৃত তিমিটি কোন প্রজাতির সেটা ছবি কিংবা ভিডিও দেখে বলা সম্ভব নয়।
অসুস্থতার কারণে বিভ্রান্ত হয়ে সৈকতের কিনারায় এসে তিমিটি মারা যেতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।
সেভ দ্যা নেচার অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মোয়াজ্জেম হোসাইন বলেন, সৈকতে তিমি মারা যাওয়াটা দুঃখজনক। যেহেতু কক্সবাজার সৈকতে এখন তিমির অবস্থান দেখা যাচ্ছে; সেহেতু কোস্টগার্ড, উপকূলীয় বনবিভাগ এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী বাসিন্দাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে, যাতে প্রাণীগুলোর কোনো ক্ষতি না হয়। রুবেল/বকুল