কৃষি

ভিয়েতনামের নারকেল চাষে সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন মাহফুজ

ভিয়েতনাম থেকে সংগ্রহ করা নারকেল গাছ লাগিয়ে সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশার মাহফুজুর রহমান।

খাটো জাতের এই নারকেল গাছে মাত্র তিন বছরেই ফলন ধরতে শুরু করেছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এ বাগান থেকে বাণিজ্যিকভাবে নারকেল বাজারজাত করার আশা করছেন তিনি। নিজের বাগানটিকে দেশের বৃহত্তম নারকেল বাগান দাবি করে মাতৃবাগান হিসেবে স্বীকৃতি চান মাহফুজুর রহমান।

২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে মাহফুজুর রহমান ভিয়তনাম থেকে ৩০০ চারা সংগ্রহ করেন। বেসাইনখান গ্রামে চার একর জমিতে গড়ে তোলেন নারকেল বাগান। ১২০০ টাকা দরে ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা প্রতিটি চারা ৫০০ টাকা ভর্তুকিমূল‌্যে সরকারের কৃষি বিভাগ থেকে সংগ্রহ করেন তিনি।

প্রতিটি গাছ থেকে অন্তত ৩০০টি করে নারকেল পাওয়া যাবে বলে এ উদ্যোক্তা আশা করছেন। নারকেল বিক্রি করে ২০ লাখ টাকা আয় হবে।

বাগানে অন্যান্য ফলজ গাছের চারাও রোপন করা হয়েছে। এ বাগান করে ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক পেয়েছেন তিনি। এদিকে স্থানীয়রা তার এ সাফল্যে গর্বিত।

কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস শুক্কুর মোল্লা বলেন, ‘এই অঞ্চলের মধ্যে প্রথম ভিয়েতনামের খাটো জাতের নারকেলের চাষ করা হয়েছে। গাছে নারকেল ধরতে শুরু করেছে। ছয় মাসের মধ্যে এগুলো বিক্রি করা যাবে। এই বাগান দেখে অনেকে নতুন করে বাগান করতে শুরু করেছে।’

মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমার বাগানে নারকেল ধরেছে। এই বাগানটিকে মাতৃবাগান হিসেবে স্বীকৃতি দিলে কম মূল্যে নারকেল বীজ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এতে এই অঞ্চলের চাষিরা উপকৃত হবে। উচ্চ ফলনশীল এ জাতীয় নারকেলের আবাদ বাড়ানোর মাধ্যমে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে।’

ঝালকাঠি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রিফাত সিকদার বলেন, ‘কৃষি বিভাগ মাতৃবাগান হিসেবে এ বাগানটিকে স্বীকৃতি পাওয়ার জন‌্য সার্বিক সহযোগিতা করবে।’

 

ঝালকাঠি/ইভা