সারা বাংলা

ঝালকাঠিতে সাড়ে ৮ হাজার পশু মোটাতাজা করা হয়েছে

আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ঝালকাঠি জেলায় পারিবারিক ও বাণিজ্যিকভাবে সাড়ে ৮ হাজারের বেশি পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। প্রাকৃতিক উপায়ে পশুগুলো মোটাতাজা করা হয়। 

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১ মে পর্যন্ত পারিবারিকভাবে ৬ হাজার ৯৯২টি পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। যার মধ্যে ষাড় ৩ হাজার ৮৪৩টি, বলদ ৪১৬টি, গাভী ১০১৫টি এবং ছাগল ১ হাজার ৭১৭টি। এছাড়া খামারিরা ১ হাজার ৭৫১টি পশু মোটাতাজা করছেন। এর মধ্যে ষাড় ৮৯০টি, বলদ ২৮৬টি, গাভী ১৩১টি এবং ছাগল ৪৪৪টি। 

গরু মোটাতাজাকরণ বিষয়ে কথা হয় সদর উপজেলার গাবখান ধানসিড়ি ইউনিয়নের বৈদারাপুর গ্রামের নাসির হাওলাদারের স্ত্রী ফাতিমা বেগমের সঙ্গে।

তিনি জানান, তার স্বামী ক্ষেত-খামারে কাজ করেন। এবছর তিনি বাড়িতে পাঁচটি গরু লালনপালন করেছেন। প্রতিবছর কোরবানির হাটে তিনি মোটাতাজা করা গুরু বিক্রি করেন। এতে তার ভালো লাভ হয়।

তিনি জানান, প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে গরুগুলো মোটাতাজা করছেন। গরু পালনের কাজে তার স্বামী নাসির হাওলাদার তাকে সহায়তা করে থাকেন বলে জানান তিনি।

এ বছর করোনা মহামারির সময়ে ন্যায্য দাম পাবেন কিনা- শঙ্কায় একটি গরু স্থানীয় কসাইয়ের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন ফাতিমা। তিনি জানান, কোরবানির হাটে যদি ভালো দাম পান তাহলে বিক্রি করবেন। আর যদি না পান, তাহলে পরে কসাইয়ের কাছে বিক্রি করবেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ ছাহেব আলী জানান, মোটাতাজা করার জন্য অনেক অসাধু ব্যবসায়ী গরুর শরীরে স্টোরয়েড হরমোন প্রয়োগ করেন। সেই গরুর শরীর থলথলে থাকে, যা দেখে চেনা যায়। এ ধরনের গরু বাজারে পাওয়া গেছে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

ঢাকা/বকুল