মানিকগঞ্জের হরিরামপুর, শিবালয় ও দৌলতপুর উপজেলায় করোনার কারণে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়েছেন। তার ওপর বন্যায় এসব অঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সবাই। করোনার মধ্যেও যেটুকু কাজের সুযোগ ছিল, বন্যায় তাও বন্ধ হয়েছে।
কয়েক দিন ধরেই মানিকগঞ্জের বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বাড়ছে। নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে প্রবল বন্যা হয়েছে। শনিবার (১৮ জুলাই) সকালে শিবালয় উপজেলার আরিচা পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তরা পয়েন্টে কালীগঙ্গা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
হরিরামপুর উপজেলার দাশকান্দি এলাকার মোটরসাইকেল মেকানিক দিলীপ কুমার বলেন, ‘করোনার কারণে প্রায় চার মাস ধরে তেমন কাজ-কর্ম নাই। টুকটাক যা কাজ হতো, বন্যার কারণে তাও এখন বন্ধ। সামনের দিনগুলো পরিবার-পরিজন নিয়ে কীভাবে পার করব, কূল-কিনারা খুঁজে পাচ্ছি না।’
শিবালয় উপজেলার আরিচা লঞ্চ ঘাট এলাকার ডোকোরেটর ব্যবসায়ী তৌফিক হোসেন বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে করোনার কারণে সভা, সেমিনার, বিয়েসহ সব ধরনের অনুষ্ঠান প্রায় বন্ধ আছে। তার মধ্যে আবার বন্যার পানি দোকানে ঢুকেছে। মালামাল নষ্ট হযে যাচ্ছে। এ যেন মরার ওপর খাড়ার ঘা।’
হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, করোনা ও বন্যার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস জানিয়েছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ১৩০ মেট্রিক টন চাল ও ১ হাজার ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২০ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৭০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও পর্যাপ্ত গোখাদ্য মজুদ আছে।
মানিকগঞ্জ/চন্দন/রফিক