সারা বাংলা

সিনহা হত্যা: কক্সবাজার আদালতে ৬ আসামি

পুলিশ চেকপোস্টে গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের মামলায় বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকতসহ ছয় আসামিকে কক্সবাজার জেলা আদালতে আনা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ পাহারায় তাদের আদালতে আনা হয়। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

আদালতে হাজির করা অন্য আসামিরা হলেন, এসআই নন্দলাল রক্ষিত, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন ও কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুন।  

বুধবার (৫ আগস্ট) দুপুরে নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমারসহ নয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওসি প্রদীপ কুমারকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার নেওয়া হচ্ছে। 

আদালতের নির্দেশে রাতে টেকনাফ থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবকে দেন আদালত।

দুই বছর আগে সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়া সিনহা মো. রাশেদ খান ‘লেটস গো’ নামে একটি ভ্রমণ বিষয়ক ডকুমেন্টারি বানানোর জন্য গত প্রায় একমাস ধরে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকায় ছিলেন। আরও তিন সঙ্গীকে নিয়ে তিনি উঠেছিলেন নীলিমা রিসোর্টে।

গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন।

ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের কথা জানিয়ে সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, সিনহা তার পরিচয় দিয়ে ‘তল্লাশিতে বাধা দেন’। পরে ‘পিস্তল বের করলে’ চেক পোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে গুলি করে। এই ঘটনায় পুলিশ মামলাও করে।

তবে পুলিশের এই ভাষ্য নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতিনিধি নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

 

রুবেল/বকুল