বহুল আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে হল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের তিন পরিচালকসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।
যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন—হল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালক কাজী মমরেজ মাহমুদ ও অমিতাভ অধিকারী এবং আনান কেমিক্যালের পরিচালক উজ্জল কুমার নন্দী ও অনিতা কর। জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে নির্দোষ বলে দাবি করেন।
তবে জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হননি হল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালক প্রীতিশ কুমার হালদার, একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সুস্মিতা সাহা এবং আরবি এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটার রতন কুমার বিশ্বাস।
একই ঘটনায় গত ১০ আগস্ট পি কে হালদারসহ পাঁচজনকে তলব করে দুদক। তবে পি কে হালদার অনেক আগেই দেশ থেকে পালিয়েছেন।
এ ঘটনায় রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি পি কে হালদার ও তার সহযোগীসহ ৮৩ ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়।
অভিযোগ আছে, পি কে হালদার ওই প্রতিষ্ঠানসহ পিপলস লিজিং ইন্টারন্যাশনাল, লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির (বিআইএফসি) দায়িত্ব পালনকালে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন।
ইতোমধ্যে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। ওই এজাহারে প্রশান্ত কুমার হালদার ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক ১ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকার লেনদেনের বিষয়ে তথ্য আছে।